বন্ধুত্ব জোরদারই এবারের ভারত সফরের মূল লক্ষ্য বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন। তিনি দুই দেশের অভিন্ন নদীগুলো ভারতকে খননের (ড্রেজিং) প্রস্তাব দিয়েছেন। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে শেখ হাসিনার সম্মানে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ভারতীয় কয়েকজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। সেখানে উপস্থিত কয়েকজন অতিথি এ তথ্য জানান।
সফর কেমন হবে জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি অত্যন্ত আশাবাদী। ইনশাআল্লাহ অনেক ভালো হবে। ’ সফরে কোনো চমক থাকছে কি না—এ প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘চমকের কথা বলতে পারব না। মূল এজেন্ডা বন্ধুত্ব। আমি বন্ধুত্ব চাইতে এসেছি। আমি বন্ধুত্ব (জোরদার) চাই। ’
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এবার দিল্লিতে দেখা হচ্ছে কি না জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মমতার সঙ্গে দেখা করার আমার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু ও তো আসেনি। মমতা আমার বোনের মতো। ওকে স্নেহ করি। ওর সঙ্গে রাজনীতির বাইরে আমার সম্পর্ক। যখন চাইবে, তখনই আমার সঙ্গে দেখা করতে পারে। ’
গান্ধী পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘সম্পর্ক আমার গান্ধী পরিবারের সঙ্গে। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই। ’ রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যু অবশ্যই উত্থাপন করব, যাতে ভারতের মতো একটা বড় দেশ এ বিষয়ে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করে। যাতে মিয়ানমারকে চাপ দেয়। আমার মনে হয়, ভারত এ ব্যাপারে নিশ্চয়ই কিছু প্রতিশ্রুতি দেবে। ’
তিস্তা চুক্তি না হওয়া প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পানি দিচ্ছেন না বলেই ইলিশ পাচ্ছেন না। দুর্গাপূজার সময় তো দিতেই হবে। নিয়মিত পেতে গেলে তো আমাকে পানি দিতে হবে। ’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আসলে অভিন্ন নদীগুলো ড্রেজিংয়ের একটা প্রস্তাব দিয়েছি। দুই দেশ এ ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করলে ভালো। নদীগুলোতে পলি পড়ে পানিপ্রবাহ কমে গেছে। এই কাজে ভারত যদি এলওসি (লাইন অব ক্রেডিট ) থেকে টাকা দেয়, সে তো আরো ভালো। টাকা না দিলেও আমরা কিভাবে করা যায়, চেষ্টা করছি। ’
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, ‘বন্যার সময় যে পানিটা চলে আসে সেটা সংরক্ষণ কিভাবে করা যায়, তার একটা ব্যবস্থা করার চেষ্টা করছি। ভারত যদি এতে সাহায্য করে তাহলে খুবই ভালো হয়।’