সংগঠনের নাম পরিবর্তন করলেও জামায়াতে ইসলামীর নেতারা আবেদন করে নিবন্ধন পাবেন না বলে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর জানিয়েছেন।
আজ সোমবার (২৯ আগস্ট) নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে নিজ দফতরে জামায়াতে ইসলামী অন্য নামে আবেদন করলে নিবন্ধন পাবে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে এই কথা জানান কমিশনার।
২০০৯ সালে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব মাওলানা সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ ২৫ ব্যক্তি জামায়াতের নিবন্ধন নিয়ে এক রিট পিটিশন দায়ের করেন। কয়েক দফা শুনানির পর হাইকোর্ট ২০১৩ সালের ১ আগস্ট এক রায়ে জামায়াতকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন প্রদান আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ও আইনগত অকার্যকর ঘোষণা করেন।
মানবতাবিরোধী অপরাধে দলটির একাধিক শীর্ষ নেতার ফাঁসির রায়ের পর নানামুখী চাপে রাজপথ থেকে নিজেদের পুরোপুরি গুটিয়ে নেয় জামায়াত। ঘরোয়া কর্মসূচি পালন করেই সময় কাটছিল নেতাকর্মীদের।
কয়েক মাস আগে সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভয়াবহ বন্যার সময় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে প্রকাশ্যে কর্মসূচি পালন করতে থাকে জামায়াত। নির্বিঘ্নে এসব কর্মসূচি পালন করেন দলটির শীর্ষ নেতারা।
এদিকে রোববার (২৮ আগস্ট) হঠাৎ করে আলোচনায় আসে জামায়াত। দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান ঘরোয়া এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে বিএনপির সঙ্গে জোট নেই বলে বক্তব্য দেন। যা মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়।
অন্যদিকে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা আছে আসছে নির্বাচনে নিজেদের মতো লড়াই করার চেষ্টা করছে জামায়াত। সে ক্ষেত্রে নতুন করে নিবন্ধন পাওয়ারও চেষ্টা চালাবে দলটি।
এমন আলোচনার মধ্যে দলটির নেতারা অন্য নামে চেষ্টা করলেও নিবন্ধন পাবেন না একথা স্পষ্ট করল ইসি।
নির্বাচন কমিশনারের কাছে প্রশ্ন ছিল- যদি নতুন করে আবেদন করে একই মানুষ, কিন্তু ভিন্ন দল; তাহলে কি নিবন্ধন পাওয়ার সুযোগ আছে?
জবাবে মো. আলমগীর বলেন, ‘একই মানুষ আসবে কি না, তা বলতে পারব না। যারা আবেদন করছেন, যদি দেখি যে ক্রাইটেরিয়া মেলে না, তাহলে তো নিবন্ধন দিতে পারব না।’
তাহলে কি অন্য নামে নিবন্ধন পাওয়ার সুযোগ আছে- পাল্টা এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘অন্য নামে হলেও জিনিস তো একই। দলের গঠনতন্ত্র যদি আমাদের সংবিধানের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ হয়, তাহলে তো কোনো সুযোগ নেই। আদালতের আদেশ পরিবর্তন হলে অন্য বিষয়।’
নতুন রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধন দেওয়ার আগে তাদের নিয়ে তদন্ত করা হয়। এই তদন্তের বিষয়ে এই কমিশনার বলেন, গোয়েন্দা সংস্থার তদন্ত নয়। আইনে আছে আমাদের (ইসি) কর্মকর্তারাই তদন্ত করবেন।
এদিকে ইসির পক্ষ থেকে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত তারা রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে নিবন্ধনের আবেদন নেবে।