প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে রাতদিন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম। তিনিই দেশের সকল অর্জন ও উন্নয়নের শেষ ঠিকানা। সে কারণেই নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের মর্যাদা বাড়িয়েছে। উন্নত বাংলাদেশ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য দেশ গড়তে ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ বাস্তবায়নে কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) বিকালে জাতীয় জাদুঘরের বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যায়নরত শরীয়তপুর জেলার শিক্ষার্থীদের সংগঠন কৃতিনাশা আয়োজিত নবীন বরণ ও কৃতি সংবর্ধনা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
উপমন্ত্রী শামীম বলেন, স্বাধীনতা সংগ্রামসহ সব আন্দোলন-সংগ্রামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা অগ্রগণ্য। জীবনের মায়া ত্যাগ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসমাজ সর্বদা গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে এগিয়ে এসেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসমাজের প্রতিবাদী সত্তার স্ফুরণ ও অগ্রগণ্য ভূমিকা অনন্য অসাধারণ অর্জন। এ অর্জন ধারণ করে আগামী দিনের উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে এগিয়ে যেতে হবে।
উপমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষার উন্নয়নে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার প্রাথমিক পর্যায়ে প্রায় শতভাগ শিশুকে শিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে। এখন সরকার শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করতে কাজ করছে। এ লক্ষ্যে কারিকুলাম পরিবর্তনেরও কাজ চলমান রয়েছে। জ্ঞান, দক্ষতা ও মূল্যবোধের ভিত্তিতে কারিকুলাম প্রণয়ন করা হচ্ছে। আগামীতে শিক্ষার মানউন্নয়নে মেগা প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে। জেলায় জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করা হচ্ছে। ননএমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হচ্ছে। শরীয়তপুরে শেখ হাসিনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে৷ গত ১৩ বছরে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অস্ত্রের ঝনঝনানি নেই, অস্ত্রের মহড়া নেই, সেশন জট নেই। বছরের প্রথমদিন শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেয়া শেখ হাসিনার সরকারের অনন্য কৃতিত্ব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষাবান্ধব সরকার প্রধান হিসেবে বিশ্বসেরা।
সংগঠনের সভাপতি তানভীর ইসলাম প্রিন্স ও সাইদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যান শ্যামসুন্দর দেবনাথ, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন, পপুলার লাইফ ইনসুরেন্স কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিএম ইউসুফ আলী, ঢাবির আর্থ এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অনুষদের ডীন ড. মো. জিল্লুর রহমান, শরীয়তপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র রফিকুল ইসলাম কোতোয়াল, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. মজিবুর রহমান হাওলাদার, সমবায় অধিদপ্তরের উপ-নিবন্ধক আবুল খায়ের (হিরু)।
এসময় উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীমের রত্নগর্ভা মায়ের নামে প্রতিষ্ঠিত বেগম আশ্রাফুন্নেছা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ২৫ জন কৃতি শিক্ষার্থীকে বৃত্তিপ্রদান করা হয়।