জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী ও পদ্মা সেতু নিয়ে কবিতা আবৃত্তি ও গান পরিবেশনার মাধ্যমে সরকারি দলের দুই সংসদ সদস্য পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উদযাপন করলেন।
গতকাল মঙ্গলবার বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় পদ্মা সেতু এবং সরকার প্রধানকে নিয়ে আবৃত্তি করেন আসাদুজ্জামান নূর ও মমতাজ বেগম।
প্রথমে জনপ্রিয় লোক সংগীতশিল্পী ও সংসদ সদস্য মমতাজ গান গেয়ে শোনান— ‘আমার নেত্রী শেখ হাসিনা যার তুলনা নাই/এমন একজন নেত্রীর জন্য আমি দোয়া চাই।’
মমতাজ আলোচনার এক পর্যায়ে বলেন, ‘এখন নারীরা শাড়ি-গয়না চায় না।’ তিনি গেয়ে ওঠেন, ‘চাই না গয়না, চাই না শাড়ি/নৌকাতে ভোট না দিলে যাব চলে বাপের বাড়ি।’
মমতাজ জানান, তিনি সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার সিডনি ও মেলবোর্নে বঙ্গবন্ধু পরিষদের আয়োজনে অনুষ্ঠান করতে গিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, সেখানে আমার ‘পাঙ্খা পাঙ্খা’ গানের সঙ্গে একটা মেয়ে খুব সুন্দর নাচছিল। অনুষ্ঠান শেষে মেয়েটি আমার সঙ্গে সেলফি তুলতে আসলে আমি বলেছিলাম, তুমি কি নাচ শিখেছ? মেয়েটি আমাকে বলে, আপনি আমারা বাবাকে চিনবেন। তিনি আপনার কলিগ। আমি জানতে চাইলাম কে? মেয়েটি জানাল তার বাবা হারুনুর রশীদ সাহেব (বিএনপির সংসদ সদস্য)।
এসময় সংসদে হাসির রোল ওঠে। সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও এ সময় হাসতে দেখা যায়।
বিএনপির হারুনুর রশীদ সংসদে তার বক্তব্যে কোরান হাদিস থেকে উদ্ধৃতি দেওয়ার প্রসঙ্গ টেনে মমতাজ বলেন, আমরাও কোরান-হাদিস পড়ি। ছয়টা হাদিস গ্রন্থ আমি পড়েছি। আমি, আমার মা-বাবা হজ করেছেন। এগুলো মানার বিষয়, প্রকাশ করার বিষয় নয়। আমরা ধর্মভীরু, ধর্মান্ধ নই।
বক্তব্যের শেষের দিকে বিরোধী দলের দিক থেকে মমতাজকে আরও একটি গান গাইবার অনুরোধ আসে। মমতাজ তখন গেয়ে ওঠেন, ‘সবার আগে চিন্তা করল শেখ হাসিনার সরকার/যাতায়াতের উন্নয়নে পদ্মা সেতু দরকার।’
এর আগে, সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর তার বক্তব্য শেষে কবি কামাল চৌধুরীর ‘পদ্মা সেতু’ কবিতা থেকে কিছু অংশ আবৃত্তি করেন।
‘…আমাদের এই গল্প শেখ হাসিনার হাতে এখন
ইতিহাস হয়ে গেছে
বহু বছর পরে আরেকটি বিজয় পার হয়ে যাচ্ছে
খরস্রোতা পদ্মা
নৌকা, ভাটিয়ালি, ফেরিঘাট, জাহাজের ভেঁপু ছুঁয়ে ছুঁয়ে স্বপ্নের দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়েছে দুই তীরের বন্ধন…’