ঢাকায় আসা তুরস্কের এক নাগরিক মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তাঁকে রাজধানীর সরকারি একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে ওই ব্যক্তির এখনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ হয়নি। তিনি তার্কিশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে মঙ্গলবার (৭ জুন) দুপুর ২টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসেছিলেন।
সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালের পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, ‘সন্দেহভাজন ব্যক্তি তুরস্কের নাগরিক। তার দুই হাতে মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ পাওয়া গেছে। তিনি বর্তমানে সংক্রমণ ব্যাধি হাসপাতালে আইসোলেশনে রয়েছেন। নমুনা পরীক্ষার জন্য আইইডিসিআরে পাঠানো হবে। পিসিআর টেস্ট পরীক্ষার ফলাফল শেষে নিশ্চিতভাবে জানা যাবে তার মাঝে মাঙ্কিপক্স সংক্রমণ আছে কিনা।
ডা. মিজানুর রহমান জানান, মাঙ্কিপক্স শনাক্ত ব্যক্তির চিকিৎসা দিতে মহাখালীর সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালকে ডেডিকেটেড করা হয়েছে। এ ধরনের রোগীদের চিকিৎসা প্রস্তুতির অংশ হিসেবে এখানে ১০টি শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যদিও মাঙ্কিপক্স আক্রান্ত কোনো রোগী এখনো আমাদের হাসপাতালে আসেনি। এ ধরনের কোনো রোগী এলে আমরা চিকিৎসা দিতে প্রস্তুত আছি।
প্রসঙ্গত, পশ্চিমা দেশগুলোয় মাঙ্কিপক্স সংক্রমণ বাড়ছে। আফ্রিকার বাইরে বিশ্বের কমপক্ষে ৩০টি দেশে ছড়িয়েছে রোগটি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দুদিনের আগের দেওয়া তথ্যমতে, ৩০ টি দেশে ৭০০ জনের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ২১ জনই যুক্তরাষ্ট্রের।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, অনেকটা গুটিবসন্তের মতো হলেও মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ মৃদু। শুরুতে জ্বর, মাথাব্যথা, শরীরব্যথা, ক্লান্তি, অবসাদ ইত্যাদি দেখা দেয়। ফুলে যেতে পারে লসিকা গ্রন্থি। এক থেকে তিন দিনের মধ্যে সারা গায়ে ফুসকুড়ি ওঠে। মুখে শুরু হয়ে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে এই ফুসকুড়ি। বসন্তের মতোই প্রথমে লাল, তারপর ভেতরে জলপূর্ণ দানা, শেষে শুকিয়ে পড়ে যেতে থাকে। দুই থেকে চার সপ্তাহ স্থায়ী হয় এই রোগ। তারপর নিজে নিজেই সেরে যায়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তেমন বড় কোনো জটিলতা হয় না।