বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে সরকার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
অর্থমন্ত্রী বলেন, “পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার জন্য আমরা সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার কথা ভাবছি।”
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৬ মে), অর্থনৈতিক বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি (সিসিইএ) এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির, পৃথক দুই বৈঠকের পর, সাংবাদিকদের এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, “সংসদে জাতীয় বাজেট পেশের আগে, বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে আরও ঘোষণা দেবে।”
সাধারণ ক্ষমার বিষয়টি জাতীয় বাজেটে প্রতিফলিত হবে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল।
তিনি বলেন, “এ উদ্যোগ বাংলাদেশ ব্যাংক নেবে এবং সার্কুলারের মাধ্যমে ঘোষণা করবে। তবে, জাতীয় বাজেট সংসদে পেশ করার আগে আমরা এ বিষয়ে কোনো ঘোষণা দিতে চাই না।”
বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি ঘোষণা করেছে, কোনো ব্যক্তিকে পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই বিদেশ থেকে পাঁচ হাজার পর্যন্ত মার্কিন ডলার আনতে দেয়া হবে এবং অর্থের উৎস সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন করা হবে না; এ বিষয়ে সরকারের উদ্যোগ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল এসব কথা বলেন।
কামাল বলেন, “মূলত দেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার জন্য এই উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।”
তবে কী পরিমাণ টাকা পাচার হয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমি কোন ধারণা দিতে পারছি না কত টাকা পাচার হয়েছে। তবে, আমরা গণমাধ্যম এবং অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করি। বিভিন্ন দেশ কর অব্যাহতির মতো সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করছে। আমরাও তাই ভাবছি।”
অর্থমন্ত্রী বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন, যারা অর্থ পাচার করেছে তারা সরকারের সাধারণ ক্ষমার সুবিধা নেবে। কেননা, এটি তাদের জন্য একটি ভালো সুযোগ।
এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী বলেন, “ডলারের সংকট রয়েছে। কিন্তু, এটি এমন পর্যায়ে নয়, যা আমাদের আমদানিকে বাধাগ্রস্ত করবে। আমদানি ব্যবসা চালানোর জন্য আমাদের রিজার্ভে পর্যাপ্ত ডলার আছে।”