বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংযুক্ত আরব আমিরাতের নতুন প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। আজ রোববার (১৫ মে) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
শুভেচ্ছাবার্তায় আমিরাতের নতুন প্রেসিডেন্টকে উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই পদে আপনার নির্বাচিত হওয়ার ফলে এটা প্রতীয়মান যে, আপনার নেতৃত্ব ও ধীশক্তির ওপর সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফেডারেল সুপ্রিম কাউন্সিল ও জনগণ গভীর আস্থা ও বিশ্বাস রাখে।
শুভেচ্ছাবার্তায় ১৯৭৪ সালে আরব আমিরাতের বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদানের বিষয়টিও উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের এই ইস্পাত-সদৃশ পারস্পরিক সম্পর্ক আজকের এই উচ্চতায় পৌঁছেছে অনেকগুলো খাতে উল্লেখযোগ্য অর্জনের হাত ধরে। এর মধ্যে আছে মানবসম্পদ, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, সংস্কৃতি, শিক্ষা ও প্রতিরক্ষা।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ১৯৭১ সালে দুটি দেশ রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার পর থেকে বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় বিষয় ও পারস্পরিক স্বার্থে বাংলাদেশ ও ইউএই পরীক্ষিত বন্ধু।
শুভেচ্ছাবার্তায় শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সুস্বাস্থ্য কামনা করে ভবিষ্যতে দুই দেশের জনগণের কল্যাণে একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে গত ১৩ মে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ান মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। তার মৃত্যুর পর শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান ১৯৬১ সালে আল আইনে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা আমিরাতের প্রথম প্রেসিডেন্ট শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ান এবং মাতা শেখ ফাতেমা বিনতে মুবারক।
শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের মৃত্যুতে ৪০ দিন দেশটিতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে। বেসরকারি কার্যালয়গুলোকেও তিনদিন কার্যক্রম বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে দেশটির সরকার।
শেখ খলিফা একজন ভালো শ্রোতা ছিলেন। তার ব্যবহার অত্যন্ত মধুর ছিল এবং জনগণের স্বার্থ তার কাছে প্রাধান্য পেত। তিনি আরব আমিরাত ও অন্যান্য অঞ্চলে সবার কাছে সমাদৃত ছিলেন।