বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে পহেলা বৈশাখ

রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে আজ বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বাংলা ক্যালেন্ডারের প্রথম দিন পহেলা বৈশাখ পালিত হয়েছে। সারাদেশের বিভিন্ন জনপ্রিয় ও ঐতিহাসিক স্পটগুলোতে বাংলা নববর্ষ ১৪২৯ -কে স্বাগত জানাতে নতুন আশা ও আকাঙ্খা নিয়ে সর্বস্তরের মানুষ ভিড় করছে। তবে পহেলা বৈশাখ পবিত্র রমজান মাসে পালিত হওয়ায় উৎসবে কিছুটা ভাটা পড়েছে।

আজ (বৃহস্পতিবার) ভোরে ছায়ানটের শিল্পীরা রমনার বটমূলে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত গান ‘এসো হে বৈশাখ, এসো, এসো’ দিয়ে দিনটিকে স্বাগত জানানোর মধ্য দিয়ে উৎসবের সূচনা হয়।

মহামারির কারণে গত দুই বছর সীমিত পরিসরে নববর্ষ উদযাপন করতে হয়েছে। এ বছর করোনা পরিস্থিতি শিথিল হওয়ায় স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে নববর্ষ উদযাপন করা হচ্ছে।

উৎসবের অংশ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের আয়োজনে দুই বছর পর মঙ্গল শোভাযাত্রা বের হয়। সকাল ৯টায় এ শোভাযাত্রা টিএসসি থেকে বের হয়ে ঢাবির উপচার্যের বাসভবন ঘুরে অবার টিএসসিতে এসে শেষ হয়। এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রার মূল প্রতিপাদ্য ‘নির্মল করো মঙ্গল করে মর্ম মুছায়ে’।

১৯৮৯ সালে শুরু হওয়া এবং প্রতিবছর পহেলা বৈশাখে অনুষ্ঠিত মঙ্গল শোভাযাত্রা ২০১৬ সালে ইউনেস্কোর বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। এদিকে, ব্যবসায়ীরা বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের তাদের ঐতিহ্যবাহী নতুন খাতা ‘হালখাতা’ খুলে ক্রেতাদের মিষ্টি উপহার দেন। প্রায় ছয় শতাব্দী পূর্বে, ১৫৫৬ খ্রীস্টাব্দে মুঘল সম্রাট আকবর বাংলা সন প্রবর্তনের পর থেকেই পহেলা বৈশাখ উদযাপন হয়ে ওঠে বাঙালি জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।

প্রতি বছরই এই দিনটিতে সরকারি ছুটি থাকায় বাংলাদেশের সকল স্তরের মানুষই অত্যন্ত আনন্দ-সমারোহের সাথে দিনটি উদযাপনে অংশ নেয় আর নতুন বছরকে বরণ করে নেয়। এটাই বাঙালির ঐতিহ্য।

দিবসটি উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলাদা বাণীতে দেশবাসী এবং বিশ্বের সকল বাংলাভাষী জনগণকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে দেশের সকল টেলিভিশন চ্যানেল বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করছে।