জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে র্যাবকে নিষিদ্ধ করতে ১২টি মানবাধিকার সংগঠনের দাবির প্রতিক্রিয়ায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, সরকারি এই বাহিনীর ওপর ‘অবিচার’ হচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) ডিসি সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধিবেশন শেষে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এই প্রতিক্রিয়া জানান।
এসময় তার সঙ্গে ছিলেন পুলিশ প্রধান ও র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদসহ র্যাবের বর্তমান কয়েক কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক নিষেধাজ্ঞার পর মানবাধিকার সংগঠনগুলোওর ওই দাবি তোলে।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে গত ১০ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্র ‘গুরুতর’ মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে বেনজীর আহমদ এবং র্যাবের বর্তমান ছয় কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
এর ধারবাহিকতায় র্যাবকে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়েছে ১২টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা, যা বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানায়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিকরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘র্য্যাব যারা তৈরি করেছেন, এখন তারাই র্যবকে অপছন্দ করছেন। র্যাবের বিরুদ্ধে নানান ধরনের অপপ্রচার করছে।’
র্যাবের ‘ভালো’ কাজের কথা বলা হচ্ছে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘র্যাব যে মাদকের বিরুদ্ধে, ভেজাল দ্রব্য নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে, জলদস্যু মুক্ত করছে, চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যাচ্ছে, তারা যে সব সময় জঙ্গি দমন করছে, সন্ত্রাস দমনের জন্য কাজ করছে, সেই কথাগুলো তারা বলছে না।’
র্যাবের বিরুদ্ধে যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তারা নানান ধরনের মানবাধিকারের কথা বলে। আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে পারি, এমন কোনো দেশ নাই যেখানে এনকাউন্টার বা এই ধরনের ঘটনা না ঘটে। পুলিশ বাহিনীর সামনে কেউ যদি অস্ত্র তুলে কথা বলে, পুলিশ বাহিনী তো তখন নিশ্চুপ হয়ে বসে থাকে না। তখনই এই সমস্যা ফায়ারিংয়ের ঘটনা ঘটে।’
‘এই সমস্ত সবই যদি এলিট ফোর্স, ব্যাবের ঘাড়ে দিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে আমি মনে করি, তাদের প্রতি অবিচার করা হচ্ছে।’ র্যাবকে নিয়ে সমালোচনা রাজনৈতিক কারণে বলে মনে করেন কি না- প্রশ্নে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘সেই বিচার আপনারাই করেন।’’