প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্তব্য করেছেন ৭১ এ পাওয়া যে সম্মান ৭৫ এ হারিয়ে গিয়েছিল, তা আবারও পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘এখন আর বাংলাদেশকে কেউ অবহেলা করতে পারবে না।’
তিন বাহিনীকে যুগোপযোগী করা হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘দেশের সার্বভৌমত্বে আঘাত এলে বসে থাকবে না বাংলাদেশ।’ তিনি আজ বুধবার ডিএসসিএসসি কোর্স ২০২১-২২ এর গ্র্যাজুয়েশন সেমিনারে এসব কথা বলেন।
গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই কোর্সে আপনারা সামরিক জ্ঞান ও জাতীয়-আন্তর্জাতিক উচ্চতর জ্ঞান লাভ করেছেন। এই জ্ঞান আপনাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব দক্ষতার সঙ্গে পালন ও যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়ক হবে। আমি চাই, আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিটি সদস্য আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন হবে। এজন্য পদবি পরিবর্তন করা থেকে শুরু করে অনেক কাজ করে দিয়েছি। যাতে প্রতিটি সদস্য সমানতালে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চলতে পারে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আজকে সত্যিই জাতির পিতার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। কারণ তিনি বলেছিলেন, একদিন বিদেশি বন্ধুরা আমাদের একাডেমিতে প্রশিক্ষণ নিতে আসবে। আজ তাই হয়েছে। আমাদের ডিএসসিএসসি আন্তর্জাতিকভাবে এক অনন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। এখানকার বিদেশি প্রশিক্ষণার্থীরাই আমাদের শুভেচ্ছা দূত।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এক সময়ে বাংলাদেশ সম্পর্কে বিদেশে নেতিবাচক কথা ছিল। কিন্তু আমাদের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের ফলে এবং আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা এবং দেশের সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ দমনে আমরা যে দক্ষতা দেখিয়েছি, তাতে বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে।’
বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিশ্বের দরবারে মর্যাদা পেয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘এই মর্যাদা ধরে রাখতে হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা উন্নত বাংলাদেশ গড়তে চাই। ২০৭১ সালে আমরা স্বাধীনতার শতবর্ষ উদযাপন করব। আমার একটাই আবেদন নতুন অফিসারদের কাছে, উন্নত বাংলাদেশ গড়ার সৈনিক হিসেবে কাজ করতে হবে। দেশকে ভালোবাসতে হবে। সবসময় মাথা উঁচু করে চলতে হবে এবং দেশের মানুষের কল্যাণে নিবেদিত প্রাণ হতে হবে।’