চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহী এবার মুখ খুললেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ও চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহীর সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া অডিও ক্লিপ নিয়ে। তিনি বর্তমানে সৌদিআরবে তার স্বামী রাকিব সরকারের সঙ্গে ওমরাহ পালন করতে গেছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সোমবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন। এর পরপরই সৌদিআরবে থাকা মাহী লাইভ করেন নিজের ফেসবুক আইডি থেকে।
মাহিয়া মাহী ফেসবুক লাইভে বলেন, ‘আমি এবাদত করতে এসেছি। আমি যেটা বলার জন্য ভিডিওটা করছি সেটা হচ্ছে আমি সেদিনও ভিষণ বিব্রত ছিলাম। নিজের আত্ম সম্মানবোধে কতটুকু আঘাত লেগেছে শুধু আমি জানি আর আমার আল্লাহ জানেন। আজকেরও আমি ভিষণভাবে বিব্রত।’
তথ্য প্রতিমন্ত্রীর পদত্যাগের ব্যাপারে তিনি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করে বলেন, ‘সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ যেন আমাদের ওমরাহ কবুল করেন। আল্লাহ স্বাক্ষী সেদিন আমার কোনো দোষ ছিল না। আমি জাস্ট একটা পরিস্থিতির স্বীকার ছিলাম।
মাহীর মতে, আপনারা নিজের থেকে চিন্তা করবেন, এই ভাষার প্রতি উত্তর বা এই ব্যবহারের প্রতি উত্তর আমার কি দেওয়ার ছিল- আসলে সেদিন কোনো প্রতি উত্তর দেওয়ার ভাষা আমার ছিল না। আমার যেভাবে পাশ কাটিয়ে যাওয়া উচিৎ ছিল আমি সেভাবেই পাশ কাটিয়ে গেছি। দুই বছর আগের একটা ভিডিও ছিল- আমি সব সময় আল্লাহর কাছে বলি যার মাধ্যমে কষ্ট পেয়েছি-কোনো না কোনো দিন তিনি তার রেজাল্ট পাবেন এবং তিনি তা পেয়েছেন। আলহামদুলিল্লাহ।
আমি সাংবাদিক ভাইয়ের কাছে সরি বলার জন্যর ভিডিওটি করছি। আমার এখান থেকে সবার ফোন কল রিসিভ করা সম্ভব না। এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলার মানসিকতায় আমার নেই। আপনার আমার জায়গা থেকে বিচার করবেন আমি দোষী কি না দোষী
ভাইরাল হওয়া সেই অডিও ক্লিপটিতে মুরাদ হাসান ফোনটি করেন চিত্রনায়ক ইমনকে। তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, তারা এখন কোথায় আছে। পরে এক পর্যায়ে মুরাদ হাসান জানতে চান, তার সঙ্গে কে কে আছে?
ইমন তাকে জানান, এক পরিচালকের সঙ্গে তিনি ও মাহিয়া মাহি কথা বলছেন। পরে ফোনটি মাহিকে দেন ইমন। তখন মাহীর সঙ্গে অশ্লীল ভাষায় কথা বলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী। সেই সঙ্গে মাহিকে নিয়ে হোটেল সোনারগাঁওয়ে দেখা করতে বলেন প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। চিত্রনায়ক ইমনকে তিনি বলেন ঘাড় ধরে যেন মাহিকে তার কাছে নিয়ে যান।
ভাইরাল হওয়া ক্লিপটি তার স্বীকার করে ইমন বলেন, ফাঁস হওয়া ফোনালাপটি সত্যি। তবে এটি সাম্প্রতিক নয়, বছর দুই আগের।
ইমন বলেন, ‘একজন মন্ত্রী যখন আমাকে কল দেন আমি তো ধরবোই তাই না? কোনো ইনটেনশন নিয়ে আমি কথা বলেনি। উনি আসলে মাহীর সঙ্গে কি কি কথা বলছেন আমি তো জানতাম না। কারণ ফোনটি লাউড স্পিকারে ছিলো না। যদিও মাহীও আমাকে কিছু জানায়নি। কারণ আমরা আসলে সিনেমার মহরত নিয়ে কথা বলছিলাম। এখন অডিওটা শুনে আমি জানতে পারলাম সেদিন মাহি কতোটা বিব্রত ছিলো।’
ইমন বলেন, আপনারা তো অডিওটা শুনেছেন। আসলে আমি তো উনার মতো লোকের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতে পারি না। তাই উনার কথা মতো আমি বাধ্য হয়ে বলেছি, ‘হ্যাঁ, ভাই আসতেছি। দেখছি ভাই।’
ইমনের দাবি, একজন তথ্য প্রতিমন্ত্রী যেকোনও শিল্পীকেই ফোন দিতেই পারেন। কিন্তু এমন আচরণ অগ্রহণযোগ্য। তিনি নিজেও হতাশ মাহির সঙ্গে প্রতিমন্ত্রীর ফোনালাপ শুনে।
এ ব্যাপারে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে তার মোবাইল নম্বরে ফোন দিলে তিনি রিসিভ করেননি।