জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন, ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে লকডাউন শিথিল করা হলেও ঈদের পর শিল্পকারখানা বন্ধ রেখে ‘সবচেয়ে কঠোর লকডাউন’ হতে যাচ্ছে। গতকাল শনিবার চুয়াডাঙ্গার জাফরপুরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) আয়োজিত ৯৬তম রিক্রুট ব্যাচের সমাপনী অনুষ্ঠান শেষে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, \”শিল্পকারখানা বন্ধ রেখে সবচেয়ে কঠোর একটা লকডাউন হতে যাচ্ছে। ঈদের পর ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট বিধিনিষেধ কঠোর হবে এ জন্য যে- সবকিছুই বন্ধ থাকবে তখন। এটা হলে আমার মনে হয় কোভিড পরিস্থিতি ভালো নিয়ন্ত্রণে আসবে।\”
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিজিবি-৬ এর পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. খালেকুজ্জামান। এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধান অতিথি বলেন, \”কোভিড মোকাবিলার ক্ষেত্রে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির পরামর্শ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা তাদের অত্যন্ত শ্রদ্ধা করি, সম্মান করি এবং তাদের পরামর্শগুলো খুবই উপযোগী। খুবই ভালো সিদ্ধান্ত তারা দেয়। কিন্তু একটি জিনিস পরিষ্কার। আমরা যত দিন পরিপূর্ণভাবে ভ্যাকসিন নিতে না পারছি, তত দিন মাস্ক পরতে হবে।\”
প্রতিমন্ত্রী ঈদের আগে লকডাউন শিথিলের ব্যাপারে বলেন, \”এই সময়ে চলাফেরার ওপর বিধিনিষেধ শিথিল করলেও আমরা স্বাস্থ্যবিধি কিন্তু শিথিল করিনি। প্রত্যেকটি মানুষ যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে। ঈদের আগের এই এক সপ্তাহ বিশেষ কারণে আমাদের চলাফেরার ওপর বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল করতে হচ্ছে। তবে সবাই যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে, মাস্ক পরে এবং খুব সতর্কতার সঙ্গে চলে, বিনা প্রয়োজনে কেউ বাইরে আসবে না, ঘরে থাকে।\”
সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ কঠোর লকডাউন চলাকালে দায়িত্ব পালন করবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, \”সীমান্তবর্তী এলাকার গ্রামগুলোতে যারা মাচায় বসে গল্প করবেন, বিজিবি তাদের বাড়িতে যেতে বলবে। অন্তত মাস্কটা পরতে বলবে। মাস্ক পরলে পরিস্থিতি যতটা নিয়ন্ত্রণ হবে, ততটাই দেশের অর্থনীতির জন্য ভালো। যখনই একটি মানুষ আক্রান্ত হবে, তার পরিবার অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সরকার যে টাকা স্কুল-রাস্তা বা অন্য উন্নয়নকাজে খরচ করতে পারত, সেই টাকা খরচ হচ্ছে কেবল মাস্ক না পরার কারণে। সে জন্য সবাইকে করোনার ঊর্ধ্বগতি টেনে ধরতে চেষ্টা করতে হবে।\”
রিক্রুট ব্যাচের সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সাংসদ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার, বিজিবির যশোর রিজিওনের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মশিউর রহমান, চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক মো. নজরুল ইসলাম সরকার, মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক মনসুর আলম খান, চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার মো. জাহিদুল ইসলাম ও মেহেরপুরের পুলিশ সুপার রাফিউল আলম প্রমুখ।