যক্ষ্মা বা যক্ষা একটি সংক্রামক রোগ যার কারণ মাইকোব্যাক্টেরিয়াম টিউবারকিউলোসিস নামের জীবাণু। ২০১৮ সালে সারা বিশ্বে এই রোগে আক্রান্ত হয় এক কোটি মানুষ এবং মারা যায় ১৫ লাখ মানুষ ৷ দেশে যক্ষ্মা রোগীদের মধ্যে এইচআইভি সংক্রমণের হার নির্ণয় জরিপ ২০১৯-২০ এর ফল প্রকাশ হয়েছে। জরিপে দেখা গেছে যক্ষ্মা রোগীদের ভিতরে এইচআইভি সংক্রমণের হার ০.০১%। ১২০০০ নমুনা থেকে করে এ ফল পাওয়া গেছে।
তৃতীয় লিঙ্গের যক্ষ্মা রোগীদের মধ্যে এইচআইভি সংক্রমণ পাওয়া যায়নি। ৩৫ থেকে ৪৪ বছর বয়সীদের মধ্যে সংক্রমণ হার ০.২%। ফুসফুসীয় যক্ষ্মা রোগীদের মধ্যে ০.১%, অফুসফুসীয় যক্ষ্মা রোগীদের মধ্যে ০.০৭%। পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে সংক্রমণ হার ০.৫%, দিনমজুরদের মধ্যে ০.৩%।
চারজন গৃহিণী যারা যক্ষ্মায় আক্রান্ত তাদের মধ্যে এইচআইভি সংক্রমণ পাওয়া গেছে। প্রাথমিক শিক্ষা কম এমন রোগীরা বেশি সংক্রমিত হয়েছেন বলে জানান জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের ( নিপসম) পরিচালক অধ্যাপক ডা. বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজ।
মহাখালীর নিপসম কনফারেন্স রুমে ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তেরর মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম। তিনি বলেন, শিক্ষার সাথে সচেতনতার বিষয় আছে। রোগ হলে সারানো যায় কিন্তু প্রতিরোধ গড়ে তোলা জরুরি। তাই মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে কাজ করতে হবে। যে গৃহিণীরা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের পার্টনাদের টেস্ট করা প্রয়োজন ছিলো।