যুদ্ধ, সংঘাত ও নিপীড়নের কারণে বিশ্বজুড়ে আট কোটির বেশি মানুষ নিজেদের ও তাদের পরিবারকে বাঁচাতে সবকিছু পেছনে ফেলে ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছে বলে জানিয়েছেন, জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। শরণার্থীদের অবশ্যই নতুন জীবন শুরু করতে হবে।
আজ রোববার (২০ জুন) বিশ্ব শরণার্থী দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি একথা বলেন।
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, মহামারি বহু মানুষের জীবিকা কেড়ে নিয়েছে, তাদের অরক্ষিত অবস্থায় ফেলে দিয়েছে এবং তাদের নির্বিচারে ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছে। কাজেই শরণার্থীদের জীবন পুনর্গঠনে সাহায্য করা আমাদের কর্তব্য। করোনা আমাদের দেখিয়ে দিয়েছে যে একসঙ্গে দাঁড়ালেই কেবল আমরা সফল হতে পারবো।
তিনি বলেন, বিশ্ব শরণার্থী দিবসে আমি সমাজ ও বিভিন্ন দেশের সরকারের প্রতি শরণার্থীদের স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও ক্রীড়ায় অন্তর্ভুক্ত করতে আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা তখনই নিরাময় লাভ করব, যখন সবাই একসঙ্গে প্রয়োজনীয় সেবাটা পাবো। আমরা তখনই শিখতে পারব, যখন সবাই শেখার সুযোগটা পাবো। আমরা তখনই আলো ছড়াতে পারব, যখন দলগতভাবে কাজটা করতে পারবো এবং একে অপরকে শ্রদ্ধা করবো।
বিশ্ব শরণার্থী দিবসে আমি সেই সব দেশকে সাধুবাদ জানাই, যারা শরণার্থীদের স্বাগত জানিয়েছে। তবে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যৎ ও বৈষম্যমুক্ত সমাজের জন্য আমাদের রাষ্ট্রীয়, বেসরকারি খাত, সমাজ ও ব্যক্তি পর্যায়ে আরও সহযোগিতা প্রয়োজন।
যেসব শরণার্থীর সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হয়েছে, তারা আমাকে দেখিয়ে দিয়েছে, অন্যের জীবন সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি নিজের জীবন পুনর্গঠনের গুরুত্ব কতোটা।
শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার হিসেবে ১০ বছরের দায়িত্বপালনের সময় শরণার্থীদের সাহসিকতা, ঘুরে দাঁড়ানোর সক্ষমতা ও দৃঢ়তা দেখে আমি অনুপ্রাণিত হয়েছি।
বিশ্বজুড়ে সব শরণার্থী ও বাস্তুচ্যুত মানুষগুলোকে আমি ধন্যবাদ জানাই এবং আশা ও ঘুরে দাঁড়ানোর শক্তি সম্পর্কে শেখানোয় আমি ব্যক্তিগতভাবে আবারও তাদের প্রশংসা করছি।
এই বিশ্ব শরণার্থী দিবসসহ প্রতিটা দিন, আমরা একসঙ্গে শরণার্থীদের পাশে দাঁড়াই।