প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস জানিয়েছেন যে, টিকা পেতে সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। আমরা প্রত্যাশা করছি যে, জুলাই মাস থেকে হয়তো আবার মাস স্কেলে টিকা দেওয়া শুরু করতে পারবো।
আজ বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস বলেন, টিকার জন্য আমরা যোগাযোগ করে চলেছি। ইতোমধ্যে আমরা কয়েকটা দেশের সঙ্গে কথা বলেছি, প্রত্যাশা করছি খুব দ্রুত আমরা টিকা পাবো।
তিনি বলেন, আমরা কিন্তু প্রতিদিনই অন্তত পক্ষে একেকটা দেশ বা কোম্পানির সঙ্গে কথা বলে যাচ্ছি। একই সঙ্গে আমাদের বাংলাদেশেও উৎপাদন করার চেষ্টা করছি।
টিকা কেনার জন্য ১৪ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে জানিয়ে মুখ্যসচিব বলেন, আমরা কিন্তু কারো দয়া চাই না। আমরা বারবার বলছি আমরা কারও কাছ থেকে বাংলাদেশ সরকার, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কিন্তু সবসময় বলছেন আমাদের ফ্রি দরকার নাই। আমরা টাকা দিয়ে কিনবো। যেখানে পাওয়া যায় সেখান থেকে কেনা হবে এবং আমরা কিন্তু অনেক দূর এগিয়েছি।
টিকা সংকট প্রসঙ্গে ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, বর্তমানে ভ্যাকসিন মার্কেটটা কিন্তু সেলারস মার্কেট, কেউ কিন্তু বিক্রি করছে না। আমরা পৃথিবীর সব জায়গায় চেষ্টা করেছি প্রথম দিন থেকে, তখন আমাদের কাছে যে অপশনটা ছিল সেটা আমরা গ্রহণ করেছি। এখনো পর্যন্ত বিশ্বের ভেতরে আপনারা খোঁজ নিয়ে দেখতে পারবেন কম দামে কিন্তু আমরা পেয়েছি।
তিনি বলেন, এখন একটা কথা হচ্ছে যে আমরা সোর্স করিনি কেন? আপনাদের কীভাবে বোঝাবো আমরা সোসিংয়ের জন্য দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য বা ইউরোপ বা চায়নাসহ সমস্ত দেশে প্রতিনিয়ত আমাদের রাষ্ট্রদূতরা যোগাযোগ করে চলেছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে মুখ্য সচিব বলেন, এখন আমরা সিলেকটিভ মানুষ না, আমরা চেষ্টা করেছি যে, প্রাইয়োরিটি ভিত্তিতে যারা স্টুডেন্ট আছে, মেডিকেলের তারা কোভিড পরিস্থিতিতে কাজ করছে, সে জন্য আমরা তাদের দিয়েছি। যেহেতু আমাদের কাছে টিকা কম আছে। কালকে যদি এক মিলিয়ন পাই তাহলে তো তখন অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আবার দেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প পরিচালক মো. মাহবুব হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মো. আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকি।