মানবিক বিবেচনায় আমরা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছি বলে জানিয়েছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন। তবে এ সংকটটির সমাধান নিহিত রয়েছে মিয়ানমারে তাদের নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবর্তনের ওপর, যা গত চার বছরে সম্ভব হয়নি।
আমরা চাই প্রত্যাবর্তন বিষয়ে জাতিসংঘ স্পষ্ট একটি রোডম্যাপ তৈরি করুক। বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের বঙ্গবন্ধু লাউঞ্জে জাতিসংঘ মহাসচিবের মিয়ানমার বিষয়ক বিশেষ দূত ক্রিস্টিন এস বার্গনারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠককালে তিনি এ কথা বলেন।
আজ বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে কক্সবাজারে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের দীর্ঘসময় ধরে অবস্থানের নেতিবাচক দিক বিশেষ করে ওই এলাকায় বসবাসরত মূল জনগোষ্ঠীর ওপর বিরূপ প্রভাবের কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অতিসত্ত্বর যদি প্রত্যাবাসন শুরু না হয়, তাহলে এটি কেবল এ এলাকারই সামগ্রিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটাবে না, বরং তা এ অঞ্চল ও এর বাইরেও অস্থিরতা তৈরি করবে।
বিশেষ দূতকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভাসানচর প্রকল্পের বিষয়ে বলেন, এখানে রোহিঙ্গাদের অর্থনৈতিক কাজে নিয়োজিত হওয়ার সুযোগ রয়েছে। জাতিসংঘ যাতে ভাসানচরে মানবিক সহায়তা দেয়, সে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
কোভিড-১৯ পরিস্থিতির উন্নতি হলে বিশেষ দূতকে ভাসানচর পরিদর্শনে যাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানান ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন।
মিয়ানমারে যাতে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের উপযোগী পরিবেশ তৈরি করা যায় এবং অচিরেই যাতে প্রত্যাবাসন শুরু করা যায়, সেজন্য জাতিসংঘ সদস্য রাষ্ট্রসহ মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ ও বাইরের সব অংশীজনদের সঙ্গে বিশেষ দূত যোগাযোগ ও আলোচনা অব্যাহত রেখেছেন বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অবহিত করেন। এছাড়া ভাসানচর পরিদর্শন করতে বিশেষ দূত তার আগ্রহের কথা জানান।