দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৩ হাজার ২২২ জনের।
মৃত ৫০ জনের মধ্যে পুরুষ ৩০ জন ও নারী ২০ জন। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৩১৯ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ৩৩ হাজার ২৯১ জনে।
আজ মঙ্গলবার (১৫ জুন) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ২৪৩ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৭১ হাজার ৭৩ জন।
সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫১২টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১৩২টি, জিন এক্সপার্ট ৪৬টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ৩৩৪টি। এসব ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ২৩ হাজার ৯৫৩টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৩ হাজার ২৫৬টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৬২ লাখ ১৮ হাজার ৯৭৯টি।
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ২৭ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৪০ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৫৩ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৫০ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৬ জন, রাজশাহী বিভাগে ১৫ জন, খুলনা বিভাগে ১৫ জন, ময়মনসিংহ বিভাগের ৩ জন, সিলেট বিভাগে ৩ জন, রংপুর বিভাগে ১ জন ও বরিশাল বিভাগে ১ জন রয়েছেন।
এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ৪৫ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ৩ জন, বাড়িতে ১ জন ও হাসপাতালে নেওয়ার পথে ১ জন মারা গেছেন।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরে ঊর্ধ্বে ২৬ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৯ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের নিচে ৩ জন ও ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ১ জন রয়েছেন।
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ১ হাজার ৬০৩ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৬১৫ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ১ লাখ ৪৯ হাজার ৬২৭ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ১ লাখ ২৩ হাজার ৪৪৬ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ২৬ হাজার ১৮১ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।