‘কোনো দেশে স্বাধীনতার ৫০ বছর পর, যারা স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, তারা রাজনীতি করতে পারে না বলে জানিয়েছেন, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। আমাদের দেশে রাজনীতি এমন হওয়া উচিত, যেখানে সরকারিদল ও বিরোধীদল উভয়ই থাকবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি।’
আজ সোমবার (৭ জুন) ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে আওয়ামী লীগের পুষ্পস্তবক অর্পণে অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. হাছান বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য, আজ স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি, তারা এখনও এদেশে রাজনীতি করে। আর বিএনপির মতো একটি বড় দল সেই স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গে নিয়েই রাজনীতি করে, তাদের দলেও স্থান দেয়। ’
ছয় দফার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রকৃতপক্ষে স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে বাঙালির মনন তৈরির উদ্দেশেই ছয় দফা ঘোষণা করেছিলেন। বাঙালির মুক্তির সনদ হিসেবে ছয় দফার ভিত্তিতে মানুষ আন্দোলন ও সংগ্রাম করেছে, ঊনসত্তরের গণঅভ্যূত্থান ও পরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেই নির্বাচনের পর যখন পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ক্ষমতা হস্তান্তর করেনি, তারপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা সংগ্রামের ডাক দিয়েছেন। দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। ’
বঙ্গবন্ধু অনেক আগেই স্বাধীনতার পরিকল্পনা করেছিলেন উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘পাকিস্তান সৃষ্টির পরপরই যখন তিনি অনুভব করলেন, এ পাকিস্তান রাষ্ট্র কাঠামোর মধ্যে বাঙালির কোনোদিন মুক্তি আসবে না, তখনই তিনি এ বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরিকল্পনা করেছিলেন। ’
এসময় ইতিহাসের দিকে আলোকপাত করে মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর ৫৩তম জন্মদিনে মণি সিং তার বক্তৃতায় বলেছিলেন, ১৯৫১ সালেই মণি সিংয়ের কাছে বঙ্গবন্ধু চিঠি লিখেছিলেন যে তিনি পুরো বাংলার স্বাধীনতার পরিকল্পনা করছেন। তারা তার সঙ্গে থাকবেন কি না? বঙ্গবন্ধু জানতেন, কখন কোনটা জাতির সামনে উপস্থাপন করতে হবে। ১৯৬৬ সালে ছয় দফার মাধ্যমে বাঙালির মুক্তির সনদ ঘোষণা স্বাধীনতার পথে এক অনন্য সোপান। ’