সিলেকশন গ্রেড বহাল রাখা, টাইমস্কেল ও দ্রুত নবম পে-কমিশন গঠন এবং নবম পে-স্কেলের মাধ্যমে বেতন বৈষম্য নিরসন করাসহ সাত দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশন৷
আজ বৃহস্পতিবার (৩ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনী মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের পক্ষে দাবিগুলো তুলে ধরেন আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশনের সদস্য সচিব মো. হাসানুজ্জামান৷
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশনের আহ্বায়ক আতিয়ার রহমান ৷
আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ফেডারেশনের সাত দফা দাবির মধ্যে রয়েছে-টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেড আগের মতো বহাল রাখা ও দ্রুত নবম পে-কমিশন গঠন এবং নবম পে-স্কেলের মাধ্যমে বেতন বৈষম্য নিরসন করা; পে-কমিশন গঠন ও পে-স্কেল দিয়ে বেতন বৈষম্য কমানোর আগে ১১-২০ গ্রেডের কর্মচারীদের ৫০% মহার্ঘ্য ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা; শিক্ষাগত যোগ্যতা ও দক্ষতা অনুযায়ী সরাসরি নিয়োগের ৬০% অভ্যন্তরীণ প্রার্থীদের মাধ্যমে পূরণ ও আপগ্রেডেশন যোগ্যদের যাদের ডিউডেট আছে, সেখান থেকে সহ ১০০% আপগ্রেডেশন দেওয়া; ব্লক পদে পদোন্নতির সুযোগ রেখে সব স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এক ও অভিন্ন নীতিমালা প্রণয়ন করা; বেতন বৈষম্য নিরসনের জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রণয়নকৃত ১৯৭৩ সালের নীতিমালার আলোকে ১০টি গ্রেড পুনরায় বাস্তবায়ন করা; বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের ভূমি ক্রয়সহ গৃহ নির্মাণের জন্য প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং অন্যান্য ফান্ড ও ঋণের বিপরীতে বীমার গ্যারান্টিতে ৫% ভর্তুকিতে ঋণের প্রাপ্যতা সহজ করা এবং ১১-২০ গ্রেডের কর্মচারীদের বাড়িভাড়া বেসিকের শতভাগ ও সল্পমূল্যে রেশনের ব্যবস্থা; চিকিৎসা, টিফিন, যাতায়াত ভাতা বাস্তব সম্মতভাবে পুনরায় নির্ধারণ করা ও সব কর্মচারীর অতিরিক্ত কর্মঘণ্টার কাজের মজুরি বেসিক হারে প্রদান করা।
সংবাদ সম্মেলনে আতিয়ার রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোথাও আর্থিক দুর্নীতি খুঁজে পাওয়া যাবে না, কারণ, আমরা মনে প্রাণে বিশ্বাস করি, বঙ্গবন্ধু একটি দুর্নীতিমুক্ত স্বাধীন সোনার বাংলা গড়ার জন্য এদেশকে স্বাধীন করছেন।
তার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়েই আমরা দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিরলসভাবে সততার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ায় আমাদের ক্ষুদ্র অবস্থান থেকে অবদান রাখতে চাই। বিনিময়ে আমরা সম্মানের সঙ্গে বাঁচতে চাই। কিন্তু, বিভিন্ন সময় আমাদের ১১-২০ গ্রেডের কর্মচারীদের বিভিন্নভাবে চরম বৈষম্যের স্বীকার হতে হয়েছে।