করোনা: দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৪ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ১৪৪৪

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ১২ হাজার ৫৮৩ জনের।

নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৪৪৪ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৯৮ হাজার ৮৩০ জনে। মৃত ৩৪ জনের মধ্যে পুরুষ ২৩ জন ও নারী ১১ জন। রোববার (৩০ মে) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাছিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৩৯৭ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৩৮ হাজার ৮০৫ জন।

সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫০২টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১২৯টি, জিন এক্সপার্ট ৪৩টি, র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন ৩৩০টি। এসব ল্যাবে গিত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৪ হাজার ৪১৮টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৪ হাজার ২৭৭টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৫৯ লাখ ২৯ হাজার ৩৩৫টি।

এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১০ দশমিক ১১ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৪৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৪৮ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৮ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৩৪ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১২ জন, খুলনা বিভাগে ৬ জন, রাজশাহী বিভাগে ৩ জন, রংপুর বিভাগে ২ জন, সিলেট বিভাগে ২ জন ও বরিশাল বিভাগে ১ জন রয়েছেন।

এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ২১ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ১০ জন ও বাড়িতে ৩ জন মারা গেছেন।

মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরে ঊর্ধ্বে ২১ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৫ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৫ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ২ জন ও ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ১ জন রয়েছেন।

এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৪৯২ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৩৪৩ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন ১ লাখ ৩৪ হাজার ৩৭৮ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ১ লাখ ১৫ হাজার ৫৭৪ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৮ হাজার ৮০৪ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।

Scroll to Top