জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন মন্তব্য করে বলেছেন যে, আমাদের ছাত্র সংখ্যা অনেক বেশি। যখন তারা স্কুলে আসবে তখন সংক্রমণ বেড়ে যাবে।
আর এজন্য স্কুল-কলেজ খোলার বিষয়টি অবস্থা বুঝে সিদ্ধান্ত আসবে বলে আভাস দিয়েছেন তিনি।
চলমান লকডাউন বা বিধিনিষেধ আগামী ৬ জুন পর্যন্ত বাড়ানোর পর রোববার (৩০ মে) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের একথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
করোনা সংক্রমণের কারণে আগামী ১২ জুন পর্যন্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ রেখে ১৩ জুন খোলার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। গত ২৬ মে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী একথা বললেও শনিবার (২৯ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, আমরা যে তারিখই নির্দিষ্ট করি না কেন, সেই সময়ের আগে করোনা পরিস্থিতি অনুকূলে না এলে মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে ঝুঁকি নেবো না।
স্কুল-কলেজ খোলার বিষয়ে এক প্রশ্নে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালত বন্ধ রেখেছি। তাতে মানুষের চলাচলের প্রয়োজনীয়তা বা বাধ্যবাধকতা নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে ৫ শতাংশের মধ্যে থাকাটা স্বস্তিদায়ক।
সংক্রমণের বতর্মানের ট্রেন্ডে স্কুল-কলেজ খোলাটাও পিছিয়ে যেতে পারে- এ প্রশ্নে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, শিক্ষামন্ত্রী তেমন ইঙ্গিত দিয়েছেন। সেটি তাদের বিষয়। উনি বলেছেন এটা নিয়ন্ত্রণের পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত খুলবে না।
তাহলে ৫ শতাংশের নিচে না আসা পর্যন্ত লকডাউন থাকবে- অপর এক প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটি বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেবেন। যদিও আমরা বিকল্প ব্যবস্থাগুলো চিন্তা-ভাবনা করছি স্কুল-কলেজ খোলার ব্যাপারে। যে রকম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। সেক্ষেত্রে অনলাইন পরীক্ষা, অনলাইন ক্লাস চলমান।
‘সেক্ষেত্রে আমরা দেখি, অবস্থা বুঝে…, আমাদের ছাত্র সংখ্যা অনেক বেশি। যখন তারা স্কুলে আসবে তখন সংক্রমণ দ্রুত বেড়ে যাবে। আমাদের বিধিনিষেধ থাকার কারণে কিন্তু সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়েছে। ’
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, জরুরি প্রয়োজনে সরকারি অফিস খোলা আছে। সেটি অত্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা রাখছি।