ঘূর্ণিঝড় হল ক্রান্তীয় অঞ্চলের সমুদ্রে সৃষ্ট বৃষ্টি, বজ্র ও প্রচন্ড ঘূর্ণি বাতাস সংবলিত আবহাওয়ার একটি নিম্ন-চাপ প্রক্রিয়া যা নিরক্ষীয় অঞ্চলে উৎপন্ন তাপকে মেরু অঞ্চলের দিকে প্রবাহিত করে। ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবেলায় গোটা বরিশাল বিভাগের সকল সাইক্লোন শেল্টারের পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সবমিলিয়ে বিভাগে প্রস্তুত রাখা প্রায় ৫ হাজার আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিতে পারবেন ২০ লাখের মতো মানুষ এবং কয়েক লাখ গবাদি পশু।
বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবেলায় সাইক্লোন শেল্টার ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ চার হাজার ৯১৫ আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যার মধ্যে বরিশাল জেলায় হাজারের ওপরে এবং ভোলা জেলায় হাজারের ওপরে আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া পটুয়াখালীতে ৯০০টির বেশি, পিরোজপুরে ৭০০টির বেশি, বরগুনায় ৬২৯ এবং ঝালকাঠিতে ৪৭৪টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এদিকে আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে বিশুদ্ধ পানি, শুকনো খাবার ও বিদ্যুতের ব্যবস্থা করতে জেলা প্রশাসন কার্যালয়গুলো থেকে ইতোমধ্যে স্ব স্ব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন দুর্যোগ মোকবিলায় বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রস্তুতি ও নির্দেশনামূলক বেশকিছু সভা অনুষ্ঠিত হয়েছেন। যার মধ্যে সোমবার জুম এ্যাপের মাধ্যমে বিভাগীয় প্রশাসনের সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে দুর্যোগ মোকাবেলায় বিভিন্ন করণীয় বিষয়ক আলোচনা করা হয়েছে।
বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার সাইফুল হাসান বাদল জানান, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলায় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে সোমবার রাতে বরিশালে থেমে থেমে মাঝারি ধরণের বৃষ্টি হচ্ছে। কয়েকদিনের তীব্র তাবদাহের পর বৃষ্টিতে তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে। ফলে জনজীবনেও কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।
বরিশাল আবহাওয়া অধিদপ্তরের সিনিয়র পর্যবেক্ষক মো. মাসুদ রানা রুবেল জানান, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বরিশালে মাঝারি ধরণের বৃষ্টি হচ্ছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বরিশালে বজ্রসহ ভারী এবং অতিভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।