আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ মন্তব্য করে বলেছেন যে, করোনায় খাদ্যের অভাবে কেউ না খেয়ে মরেনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যতদিন আছেন ততদিন দেশের কেউ না খেয়ে মরবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ মে) রাজধানীর দারুস সালাম এলাকায় দুস্থদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী ও ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
এ সময় তিনি বলেন, করোনার শুরু থেকে বিগত ১৪ মাসে দেশে না খেয়ে কেউ মৃত্যবরণ করেনি। অথচ পার্শ্ববর্তী ভারত ও পাকিস্তানে দেখেন, তাদের থেকে আমরা অনেক ভালো আছি। এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের জন্য। তিনি যতদিন আছেন ততদিন এই দেশের কেউ না খেয়ে মরবে না।
করোনাকালে সরকার ও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দেওয়া ত্রাণ সামগ্রীর বিস্তারিত তুলে ধরে ড. মাহমুদ বলেন, করোনার সময়ে প্রথম দফায় সরকারের পক্ষ থেকে সাত কোটি মানুষকে ত্রাণ দেওয়া হয়। আর দলের পক্ষ থেকে এক কোটি ২৫ লাখ পরিবারকে ত্রাণ দেওয়া হয়। আর এবার এক কোটি ৬০ োখ পরিবারের জন্য ত্রাণ বরাদ্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৭০ লাখ পরিবারে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও দলের পক্ষ থেকে লাখ লাখ মানুষের কাছে নগদ অর্থ সাহায্য দেওয়া হচ্ছে।
এতকিছুর পরেও বিএনপি ঘরে বসে থেকে সমালোচনা করবে বলে মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, এতকিছুর পরেও নিন্দুকেরা সমালোচনা করবেন। বিএনপির মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঘরে বসে টিভিতে অনলাইনে বিবৃতি দেন। তিনি এই সময়ে মনে হয় করোনা বিশেষজ্ঞ হয়েছেন। আগে জানতাম তিনি ঢাকা কলেজে ক্লাস নেন। তিনি বলেন, আমরা করোনা এর জন্য শুরু থেকে কোন প্রস্তুতি নেইনি। অথচ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, করোনা মোকাবিলায় আমরা উপমহাদেশে এক নম্বর আর বিশ্বে ২০ নম্বর।
এদিন দারুস সালাম থানা এলাকায় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এক হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী এবং ঈদ উপহার হিসেবে শাড়ি ও লুঙ্গি বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচিসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।