দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ১১ হাজার ৭৫৫ জনের।নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৭৪২ জন। সবমিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৬৭ হাজার ৩৩৮ জনে।
আজ বুধবার (৫ মে) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাছিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৪৩৩ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ৯৮ হাজার ৪৬৫ জন।
সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪২৭ টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১২৬ টি, জিন এক্সপার্ট ৩৫ টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ২৬৬ টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ২০ হাজার ২১৭ টি। আগের নমুনাসহ মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২০ হাজার ২৮৪ টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৫৫ লাখ ৬০ হাজার ৬৭৮টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ৮ দশমিক ৫৯ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৮০ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯১ দশমিক শূন্য ২ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৫৩ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৫০ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৬ জন, খুলনা বিভাগে তিনজন, সিলেট বিভাগে দুইজন ও রাজশাহী বিভাগে একজন রয়েছেন। তাদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে ৩৫ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ১২ জন ও বাড়িতে ৩ জন মারা গেছেন।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরে ঊর্ধ্বে ৩০ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৩ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৫ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ২ জন রয়েছেন।
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৪১১ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৪২৯ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন এক লাখ ২৪ হাজার ৭২৫ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ১ লাখ ৫ হাজার ৫০৯ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৯ হাজার ২১৬ জন।
দেশে গত ৮ মার্চ করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত (কোভিড-১৯) প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।