বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক, দিনমজুর, শ্রমিক, গৃহকর্মী, রিকশা ও ভ্যানচালক, মোটরশ্রমিকসহ কর্মহীন বিভিন্ন পেশার ক্ষতিগ্রস্ত ৩৬ লাখ ৫০ হাজার পরিবারকে আড়াই হাজার টাকা করে নগদ অর্থ বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ রোববার (০২ মে) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন তিনি।
আগামী তিন দিনের মধ্যে নগদ, বিকাশ, রকেট এবং শিউরক্যাশের মতো মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) মাধ্যমে জিটুপি (গর্ভনমেন্ট টু পার্সন) ভিত্তিতে ২ হাজার ৫০০ টাকা করে পৌঁছে যাবে এসব পরিবারের কাছে।
এই সহায়তা জন্য ৯১২ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। উদ্বোধনের প্রথম দিনে ২২ হাজার ৮৯৫ পরিবার এই অর্থ সহায়তা পেয়েছে।
অর্থ বিতরণে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন আমরা বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ; যারা ভাসমান মানুষ, নির্মাণ শ্রমিক, গণপরিবহন শ্রমিক, ফেরিওয়ালা, দিনমজুর, ঘাট শ্রমিক, নরসুন্দরসহ যারা দৈনিক আয়ের ভিত্তিতে জীবিকা নির্বাহ করেন, বিভিন্ন শ্রেণি পেশার অসহায় মানুষ, তাদের আমরা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে নগদ সহায়তা দিচ্ছি। এটায় অন্য কেউ টাকা পয়সা এদিক ওদিক করতে পারবে না।
করোনার এই সংকটে সরকারের পাশাপাশি বিত্তশালীদের দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, যারা বিত্তশালী আছেন তাদের বলবো—জনগণের পাশে দাঁড়ান, জনগণকে সাহায্য দেন, জনগণের জন্য কাজ করেন।
সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে হবে, অন্যকে সুরক্ষিত রাখতে হবে। স্বাস্থ্য সুরক্ষা নির্দেশনাগুলো যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে। টিকা নেওয়া সত্ত্বেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন।
প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে ভোলা, জয়পুরহাট ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রান্তে উপস্থিত জনপ্রতিনিধি, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ও কয়েকজন উপকারভোগীর সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
গণভবন থেকে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউস।