বর্তমান সরকার ঘোষিত কঠোর ‘লকডাউনের’ মধ্যে রোববার (২৫ এপ্রিল) থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে মার্কেট ও শপিংমল। পুলিশ বলছে, কঠোর বিধি-নিষেধের মধ্যে শপিংয়ে যেতে লাগবে মুভমেন্ট পাস।
পুলিশ জানায়, বিধি-নিষেধ চলাকালীন সময় জরুরি প্রয়োজনে ঘরের বাইরে চলাচলের জন্য ১৪টি ক্যাটাগরিতে দেওয়া হচ্ছে ‘মুভমেন্ট পাস’।
এগুলোর মধ্যে- মুদি দোকানে কেনাকাটা, কাঁচা বাজার, ওষুধপত্র, চিকিৎসা কাজে নিয়োজিত, কৃষিকাজ, পণ্য পরিবহন ও সরবরাহ, ত্রাণ বিতরণ, পাইকারি বা খুচরা ক্রয়, পর্যটন, মরদেহ সৎকার, ব্যবসা ইত্যাদি ক্যাটাগরিতে ‘মুভমেন্ট পাস’ দেওয়া হচ্ছে। তবে শপিংমলে কেনাকাটার জন্য কোনো ক্যাটাগরি রাখা হয়নি।
তবে এসব ক্যাটাগরির বাইরে যাদের চলাফেরা প্রয়োজন তাদের অন্যান্য ক্যাটাগরিতে মুভমেন্ট পাস দেওয়া হচ্ছে। সেই হিসেবে ‘লকডাউনে’ কেনাকাটা করতে যারা শপিং মলে কিনবা মার্কেটে যাবেন তাদের অন্যান্য ক্যাটাগরিতে মুভমেন্ট পাস দেওয়া হচ্ছে।
করোনা সংক্রমণ রুখতে দেশব্যাপী গত ১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর বিধি-নিষেধ চলমান রয়েছে। সরকারের নির্দশনা অনুযায়ী এ বিধি-নিষেধ চলবে আগামী ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত। এ সময় দেশের সব সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত, গণপরিবহন এবং দোকানপাট ও শপিংমল বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান সীমিত পরিসরে চালু করা হয়।
এদিকে রোজা ও আসন্ন ঈদ উপলক্ষ্যে ২৫ এপ্রিল থেকে দোকানপাট ও শপিংমল খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
গত ১৩ এপ্রিল রাজারবাগ পুলিশ অডিটেরিয়ামে করোনা সংক্রমণ রোধকল্পে বিধি-নিষেধ চলাকালে জরুরি প্রয়োজনে বাইরে যেতে ‘মুভমেন্ট পাস’ অ্যাপের উদ্বোধন করেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।
জানা গেছে, \’MOVEMENT PASS\’ অ্যাপস ব্যবহার করে যে কোনো নাগরিক কয়েকটি তথ্য দিয়ে খুব সহজইে এ পাস সংগ্রহ করতে পারবেন।
https://movementpass.police.gov.bd/ ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে পাসের জন্য আবেদন করতে হবে।
শুরুতেই একটি সক্রিয় মোবাইল ফোন নম্বর দিতে হবে। আবেদনকারী কোথা থেকে কোথায় যাবেন, তা জানতে চাওয়া হবে। সেইসব তথ্য ধাপে ধাপে দিতে হবে। এরপর আবেদনকারীর একটি ছবি আপলোড করে ফর্মটি জমা দিতে হবে।
জমা দেওয়া ফর্মে আবেদনকারী প্রদত্ত তথ্যাবালীর ভিত্তিতে মুভমেন্ট পাস ইস্যু করা হবে। ওয়েবসাইট থেকেই পাসটি ডাউনলোড করে সংগ্রহ করা যাবে। চলাচলের সময় কর্তব্যরত পুলিশ অফিসারকে পাস প্রদর্শন করতে হবে।
এদিকে রোববার (২৫ এপ্রিল) মার্কেট-শপিংমল খোলার প্রথম দিন সকাল থেকে সড়কে গণপরিবহন ছাড়া সব ধরনের যানবাহনের চাপ দেখা গেছে।