হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এর কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। আজ বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) ভোররাতে তাকে মানিকগঞ্জের সিংগাইর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, \’সাম্প্রতিক সময়ে নাশকতা ও সহিংসতার ঘটনায় পল্টন থানায় দায়ের করা মামলার আসামি খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবীকে মানিকগঞ্জের সিংগাইর থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব\’।
এ নিয়ে গত এক সপ্তাহে পুরাতন ও নতুন মামলায় হেফাজতে ইসলামের অন্তত ১৫ শীর্ষ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হলো।
এর আগে গতকাল বুধবার বিকেলে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরের সহসভাপতি এবং বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির খুরশিদ আলম কাসেমীকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ওয়ারী বিভাগ। রাজধানীর মোহাম্মদপুরের নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ডিবির যুগ্ম কমিশনার মো. মাহবুব আলম গ্রেপ্তারের খবরটি নিশ্চিত করেন।
খুরশিদ আলম কাসেমীর বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরের ঘটনায় মামলা রয়েছে। সেই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তিনি মামুনুল হকের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন।
তার আগে মঙ্গলবার মধ্যরাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
গত রবিবার গ্রেপ্তার হন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর সেক্রেটারি মামুনুল হক। তার বিরুদ্ধে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফর সাম্প্রতিক সহিংসতা ও রিসোর্টকাণ্ডে রাজধানীর পল্টন থানা ও নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় দুটি মামলা রয়েছে। এ ছাড়া, ২০১৩ সালের শাপলা চত্বর তাণ্ডবের ঘটনাতেও তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা আছে।