বৈশ্বিক মহামারি করোনা তাণ্ডবে আবারও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে গোটা বিশ্ব। চলমান লকডাউনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জরুরি প্রয়োজন ছাড়া দেশে না আসার অনুরোধ জানানো হয়েছে। এ লক্ষ্যে বিদেশের বাংলাদেশ মিশনগুলোকে নির্দেশনাও দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
লকডাউনের মধ্যেও বিশেষ ফ্লাইটে বিদেশ থেকে প্রবাসীরা দেশে ফিরতে চাইছেন। এছাড়া অনুমোদিত পাঁচটি দেশের বাইরেও অনেক প্রবাসী দেশে ফিরতে আগ্রহী। তবে প্রবাসীরা এখনই যেন দেশে না আসেন, সে লক্ষ্যে বিদেশের মিশনগুলোকে উদ্যোগ নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
চলমান লকডাউনে বাংলাদেশে আটকে পড়া প্রবাসীদের বিষয়ে বিবেচনায় নিয়ে শুধুমাত্র পাঁচটি দেশের সঙ্গে বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ পাঁচটি দেশ হলো- সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, ওমান ও সিঙ্গাপুর। লকডাউনের মধ্যেও এসব দেশে প্রবাসীরা যেতে পারবেন। তবে বিদেশ থেকে এখনই প্রবাসীদের বাংলাদেশে না আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বিদেশের বাংলাদেশ মিশনগুলোতে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়ার পর মিশনগুলোও সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর বাংলাদেশ মিশন জরুরি প্রয়োজন ছাড়া প্রবাসীদের দেশে না ফেরার আহ্বান জানিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার প্রভৃতি দেশ জরুরিভাবে প্রবাসীদের বাংলাদেশ ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করছে।
কাতারের বাংলাদেশ দূতাবাস লকডাউনে প্রবাসীদের দেশে না ফেরার আহ্বান জানিয়ে জরুরি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। কাতার মিশন প্রবাসীদের উদ্দেশে বলেছে, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাতারে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকসহ সবাইকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। আর এ সময়ের মধ্যে বাংলাদেশে গেলে ৭২ ঘণ্টা আগে কোভিড টেস্ট নেগেটিভ রিপোর্ট, ঢাকা ফিরলে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনের থাকাসহ বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, আবুধাবির বাংলাদেশ মিশনও প্রবাসীদের জন্য একই ধরনের নির্দেশনা দিয়েছে। মিশন থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, করোনা পরিস্থিতিতে অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ ভ্রমণ পরিহার করার জন্য পরামর্শ দেওয়া যাচ্ছে। এছাড়া জরুরি প্রয়োজনে দেশে ফিরলে সরকারের অনুমোদিত হোটেল/ প্রতিষ্ঠানে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে বলেও জানিয়েছে আবুধাবির বাংলাদেশ দূতাবাস।
সৌদি আরবের বাংলাদেশ দূতাবাস এক জরুরি বার্তায় সে দেশে প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকদের উদ্দেশে বলেছে, লকডাউনে শুধুমাত্র জরুরি প্রয়োজনে দেশে ফেরা যাবে। তবে দেশে ফিরতে আগ্রহীদের কোভিড নেগেটিভ সনদ, দেশে ফিরে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় প্রথম দফায় ১৪-২১ এপ্রিল পর্যন্ত বাংলাদেশে কঠোর লকডাউন ঘোষণা করা হয়। দ্বিতীয় দফায় ২২-২৮ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।