হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল সোমবার (১৯ এপ্রিল) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সোমবার রাত ১০টার দিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ধানমন্ডির বাসায় যান তারা। বৈঠক শেষে রাত সোয়া ১১টায় সেখান থেকে বেরিয়ে যান হেফাজত নেতারা।
প্রতিনিধি দলে ছিলেন- হেফাজতের নায়েবে আমির মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজী, মহাসচিব নূরুল ইসলাম জেহাদী, মাওলানা মামুনুল হকের ভাই বেফাকের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক, অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান, মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী প্রমুখ।
গেল এক সপ্তাহে গ্রেফতার হয়েছেন হেফাজতে ইসলামের অন্তত আটজন কেন্দ্রীয় নেতা। এছাড়া সহিংসতা ভাঙচুরের অভিযোগে স্থানীয় বেশকিছু নেতাকর্মীও গ্রেফতার হয়েছেন। তবে যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক গ্রেফতারের পরদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যান হেফাজতের মহাসচিবসহ দশজন নেতা। প্রায় সোয়া একঘণ্টা বৈঠক শেষে বের হয়ে এসে গণমাধ্যমকে অনেকটা এড়িয়ে তড়িঘড়ি গাড়িতে ওঠে চলে যান তারা।
বৈঠক শেষে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি হেফাজত নেতারা। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন, এটি হেফাজত নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল।
এক প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, সৌজন্য সাক্ষাতে এসেছিলেন তারা। এটি কোনো বৈঠক নয়। ধরপাকড় শুরু হয়েছে বলেই বোধ হয় তারা এসেছিলেন। তাদের বলা হয়েছে, সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হচ্ছে।
অন্যদিকে সোমবার রাতে ফেসবুক লাইভে আসেন সংগঠনটির আমির জুনায়েদ বাবুনগরী। গ্রেফতার বন্ধে সরকারের প্রতি আহ্বান তিনি। হেফাজত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, আপনারা কোনো জ্বালাও-পোড়াও করবেন না। হেফাজতে ইসলাম জ্বালাও-পোড়াওয়ে বিশ্বাস করে না।
সরকারের কঠোর অবস্থানের কারণে সমঝোতার চেষ্টা হিসেবেই মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করা হয়েছে বলে জানায় হেফাজতের একটি সূত্র।