শনিবার (১৭ এপ্রিল) মধ্যপ্রাচ্যের সার্বভৌম আরব রাষ্ট্র সৌদি আরবের রিয়াদ ও দাম্মামে বিশেষ ফ্লাইট ল্যান্ডিংয়ের অনুমতি না পাওয়ায় সিডিউল বিপর্যয় ঘটে। অর্ধেক ফ্লাইট বাতিলও হয়। তবে রোববার (১৮ এপ্রিল) বিশেষ সব ফ্লাইট সঠিকভাবে পরিচালনা করা হচ্ছে। কারণ সৌদি আরবে ফ্লাইট ল্যান্ডিং অনুমতি মিলেছে। সৌদি আরবের জেদ্দায় আগে থেকে অনুমোদন ছিল, কিন্তু রিয়াদ ও দাম্মামে পৃথকভাবে অনুমোদন দরকার হয়। যা পরে মিলেছে।
ফলে আজ রোববার (১৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে রিয়াদের উদ্দেশে বিশেষ ফ্লাইট রওনা দিয়েছে। এর পাশাপাশি ওমানের মাস্কাটে ও দুবাইয়ে রওনা হয়েছে বিশেষ ফ্লাইট।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ বিভাগের উপ মহাপরিচালক তাহেরা খন্দকার বাংলানিউজকে বলেন, দ্বিতীয় দিনে কোনো সমস্যা নেই। সৌদি আরবের রিয়াদ ও দাম্মামে ফ্লাইট ল্যান্ডিংয়ের অনুমতি মিলেছে। জেদ্দায় অনুমতি ছিল কিন্তু রিয়াদ ও দাম্মামে পৃথকভাবে অনুমোদন নিতে হয়। আমরা সব অনুমোদন পেয়েছি। আজ দাম্মামে বাড়তি একটি ফ্লাইট যুক্ত হয়েছে।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, দ্বিতীয় দিনে মোট ১২টি বিশেষ ফ্লাইট পরিচালিত হওয়ার কথা। দ্বিতীয় দিনে কোনো ফ্লাইট বাতিল হওয়ার শঙ্কা নেই।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক তৌহিদ উল আহসান বাংলানিউজকে বলেন, সারাদিনে পাঁচটি দেশে ১২টি বিশেষ ফ্লাইটের স্লট নির্ধারিত আছে। এরই মধ্যে তিনটি ফ্লাইট রিয়াদ-মাস্কাট ও দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। আজ কোনো সমস্যা নেই। সব কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলছে। আমাদের কাছে যা তথ্য আছে, তাতে বলা যায়, আশা করছি, কোনো ফ্লাইট বাতিল হওয়ার শঙ্কা নেই।
গত ১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর লকডাউনে সব আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ করে দেয় সরকার। ফলে আটকে পড়া প্রবাসী কর্মীদের কর্মস্থলে ফেরাতে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ শ্রমবাজারে শতাধিক বিশেষ ফ্লাইট অনুমোদন দিয়েছে সরকার। শনিবার থকে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কাতার ও সিঙ্গাপুরে বিশেষ ফ্লাইট চালু করা হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান বিমান, সৌদি অ্যারাবিয়ান এয়ারলাইন্স, ওমান এয়ার, সালাম এয়ার, কাতার এয়ারওয়েজ, এমিরেটস, ইতিহাদ, এয়ার অ্যারাবিয়া, এয়ার অ্যারাবিয়া আবুধাবি ও ফ্লাই দুবাই যাত্রী পরিবহনের সুযোগ পাচ্ছে।