বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৭৮ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯ হাজার ৭৩৯ জনে। এর আগে গতকাল শনিবার (১০ এপ্রিল) দেশে করোনায় সর্বোচ্চ ৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ হাজার ৮১৯ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে এখন পর্যন্ত মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৮৪ হাজার ৭৬৫ জন। এর আগে গত ৭ এপ্রিল দেশে একদিনে সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৬২৬ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়।
করোনাভাইরাস নিয়ে রোববার (১১ এপ্রিল) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, এদিন সুস্থ হয়েছেন আরও ৪ হাজার ২১২ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ৭৬ হাজার ৫৯০ জন।
এদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, রোববার (১০ এপ্রিল) সকাল পর্যন্ত বিশ্বে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ কোটি ৫৯ লাখ ৯৪ হাজার ১২৩ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২৯ লাখ ৩৯ হাজার ৩৭ জনের। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১০ কোটি ৯৩ লাখ ৫৮ হাজার ৫২৪ জন।
করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রে। তালিকায় শীর্ষে থাকা দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৩ কোটি ১৮ লাখ ৬৯ হাজার ৯৮০ জন। মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ৭৫ হাজার ৫৯৩ জনের।
আক্রান্ত ও মৃত্যুতে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত সংক্রমিত হয়েছেন ১ কোটি ৩৪ লাখ ৪৫ হাজার ৬ জন এবং মারা গেছেন ৩ লাখ ৫১ হাজার ৪৬৯ জন।
আক্রান্তে তৃতীয় এবং মৃত্যুতে চতুর্থ অবস্থানে থাকা ভারতে এখন পর্যন্ত করোনায় ১ কোটি ৩৩ লাখ ৫৫ হাজার ৪৬৫ জন সংক্রমিত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ১ লাখ ৬৯ হাজার ৩০৫ জনের।
আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ স্থানে রয়েছে ফ্রান্স। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫০ লাখ ২৩ হাজার ৭৮৫ জন। ভাইরাসটিতে মারা গেছেন ৯৮ হাজার ৬০২ জন।
আক্রান্তের দিক থেকে রাশিয়া রয়েছে পঞ্চম স্থানে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৪৬ লাখ ৩২ হাজার ৬৮৮ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ১ লাখ ২ হাজার ৬৪৯ জন।
এদিকে আক্রান্তের তালিকায় যুক্তরাজ্য ষষ্ঠ, ইতালি সপ্তম, তুরস্ক অষ্টম, স্পেন নবম এবং জার্মানি দশম স্থানে রয়েছে। এই তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৩৩তম।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১৮টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে কোভিড-১৯।