লকডাউনে একুশে বইমেলা চালিয়ে যাওয়া ‘অযৌক্তিক’

দেশের সবকিছু বন্ধ রেখে কেবল অমর একুশে বইমেলা চালিয়ে যাওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই বলে মনে করেন লেখক, পাঠক ও প্রকাশকরা। তাদের প্রশ্ন, যোগাযোগব্যবস্থা বন্ধ করে দেয়া হলে পাঠকরা বইমেলায় আসবেন কীভাবে?

করোনা সংকট মোকাবিলায় যখন সবকিছু সীমিত করা হচ্ছে, ঠিক তখনই বইমেলা চালিয়ে নেয়ার খবর।

বইমেলার প্রাণ পাঠকরা বলছেন, যোগাযোগ বন্ধ রেখে বইমেলা চালিয়ে যাওয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

এক পাঠক বললেন, \’গণপরিবহন যদি বন্ধ থাকে মানুষ তো মেলায় আসতে পারবে না। গণপরিবহন বন্ধ করে বইমেলা খোলা রাখা রাখার কোনো যৌক্তিকতা দেখছি না।\’

লেখকরাও বইমেলা চালিয়ে নেয়া আত্মঘাতী বলে মনে করেন।

লেখক শানারেই দেবী শানু বলেন, \’আমি নিজেও কিছুটা বিভ্রান্ত। আমি যখন বই মেলায় আসব, কীভাবে আসব? সে ভাবনাটা কাজ করে যাচ্ছে। লকডাউন এবং বইমেলা দুটি একসঙ্গে চলতে পারে না।\’

বইমেলার অন্যতম স্টেকহোল্ডার প্রকাশকরা বলছেন, তাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা ছাড়াই, বইমেলা চালিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদ বলেন, ‘আমাদের সুযোগ-সুবিধা বা অসুবিধা কিছু আছে কিনা, সেটার ব্যাপারেও জানতে চায়নি মেলা কর্তৃপক্ষ। আমাদের সঙ্গে কোনো মিটিং করেনি এবং আমাদের কোনো পরামর্শও তারা নেয়নি।\’

প্রাণের মেলা চালিয়ে নেয়া হলেও, যে আর্থিক সংকটে পড়বেন প্রকাশকরা তা কাটিয়ে উঠতে সরকারি প্রণোদনার দাবিও জানিয়েছেন তিনি।

Scroll to Top