কুমিল্লা, সিলেট এবং ময়মনসিংহ অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এছাড়া ঢাকা এবং টাঙ্গাইল অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
বুধবার (৩১ মার্চ) রাতে এক পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদফতর আরো জানিয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এর একটি বর্ধিতাংশ অবস্থান করছে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত।
এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) পাবনা ও বগুড়া অঞ্চলসহ সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, রংপুর ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু\’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টিও হতে পারে।
এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানতঃ শুষ্ক থাকতে পারে।
এদিকে গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর ও পাবনা অঞ্চলসহ খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে
পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এ সময় ঢাকায় দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে বাতাসের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ৮ থেকে ১৫ কিলোমিটার।
শুক্রবার নাগাদ তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে। বর্ধিত পাঁচ দিনে আবহাওয়ার তেমন পরিবর্তন নেই।
বুধবার দেশে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে ৩৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে শ্রীমঙ্গলে ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এখানেই দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে ২১ মিলিমিটার।