জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন যে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ১৮ দফা নির্দেশনার একটি- অফিস-আদালতে ৫০ শতাংশ উপস্থিতির বিষয়টি বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে তিনি বলেছেন, তার মন্ত্রণালয় এটি শতভাগ বাস্তবায়ন করেছে।
আর অন্যান্য মন্ত্রণালয়গুলোও বাস্তবায়ন করছে এবং এ হার প্রায় ৭০ শতাংশ বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী।
করোনা সংক্রমণ বাড়ায় গত সোমবার (২৯ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউস স্বাক্ষরিত নির্দেশনাগুলোর একটিতে বলা হয়েছে, জরুরি সেবায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান ছাড়া সব সরকারি-বেসরকারি অফিস/প্রতিষ্ঠান শিল্প কারখানাগুলো ৫০ ভাগ জনবল দ্বারা পরিচালনা করতে হবে। গর্ভবতী/অসুস্থ/বয়স ৫৫-ঊর্ধ্ব কর্মকর্তা/ কর্মচারীর বাড়িতে অবস্থান করে কর্মসম্পাদনের ব্যবস্থা নিতে হবে।
সরকারের ১৮ দফা নির্দেশনার পরদিন শবে বরাতের সরকারি ছুটি শেষে বুধবার (৩১ মার্চ) প্রথম অফিস। সচিবালয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে দেখা গেছে, প্রায় স্বাভাবিকের মতোই উপস্থিতি। তবে স্বাস্থ্যবিধি মানতে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। মাস্ক পরা নিয়ে নির্দেশনা, তাপমাত্রা পরিমাপক যন্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ৫০ শতাংশ উপস্থিতির বিষয়টি আমাদের ডিপার্টমেন্টে প্রায় শতভাগ নিশ্চিত করেছি। কারা অফিসে থাকবে বা কারা বাসায় থাকবেন, সে রোস্টার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, অন্যান্য মন্ত্রণালয়গুলোতেও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে হয়তো ৭০ ভাগ হয়ে গেছে। কেন্দ্রীয় এবং বড় সিদ্ধান্ত, দুই-একদিনের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন হবে।
ফরহাদ হোসেন বলেন, গর্ভবতী, অসুস্থ ও যাদের বয়স ৫৫ বছরের বেশি বা যাদের ফুসফুসে সমস্যা রয়েছে, তারা বাড়িতে অবস্থান করে অফিস (হোম অফিস) করবেন।