অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল মন্তব্য করে বলেছেন যে, করোনায় আন্তর্জাতিক মহল যদি বিপদে না পড়ে তাহলে আমরা বিপদে পড়বো না। তিনি বলেন, আমরা বিশ্ব অর্থনীতির আঙিনায় একে অপরের সঙ্গে সম্পৃক্ত।
ফলে আমাদের বায়াররা (ক্রেতা) কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে আমাদেরও কষ্ট হবে। আমাদের দু’টি সোর্স, একটা অভ্যন্তরীণ বাজার আরেকটা আন্তর্জাতিক বাজার। আজ বুধবার (৩১ মার্চ) দুপুরে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়ালি অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
করোনার দ্বিতীয় ওয়েভ শুরু হয়েছে, এতে আগামীতে অর্থনীতিতে কোনো ঝুঁকি দেখছেন কিনা জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা যদি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকি, আশা করি নিয়ন্ত্রণে থাকবে, কোনো ধরনের সমস্যায় পড়বো বলে মনে করি না। কিন্তু আন্তর্জাতিকভাবে করোনার প্রভাবটা যদি লম্বা সময় ধরে থাকে তাহলে সমস্যা।
করোনার প্রথম দফায় অভ্যন্তরীণ খাত ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তারপর প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। করোনার সেকেন্ড ওয়েভেও এই খাত ক্ষতিগ্রস্ত হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, কী পরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে, কী পরিমাণ ক্ষতি হবে সেটার উপর নির্ভর করবে। এটা আমাদের ব্যাপার না, আন্তর্জাতিক মহল যদি বিপদে না পড়ে তাহলে আমরাও বিপদে পড়বো না। আমরা বিপদটা এক্সচেঞ্জ করতে পারবো।
জিডিপি নিয়ে বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিবেদন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব ব্যাংক প্রজেকশন করার ক্ষেত্রে তারা যে সব ধারণা নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করে সেগুলো অনেক সময় স্থানীয় পর্যায়ে আমাদের মিল থাকে না, সেজন্য তফাৎ থাকে। তাদের নিয়ম হচ্ছে তারা শুধু দেখবে আমাদের মেথলজি সঠিক কিনা। আমরা যে ম্যাথডে জিডিপি কম্পিউট করি, সেই ম্যাথডটা ঠিক আছে কিনা। যে সব প্যারামিটারগুলো রয়েছে সেগুলো যথাযথভাবে সলভ করি কিনা, সেগুলো দেখলেই তারা খুশি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, পরবর্তীসময়ে আমরা যা হিসাবে আনি তারা সেটা দেখে চূড়ান্তভাবে বিবেচনা করে। এই মুহূর্তে আমরা হিসাব চূড়ান্ত করিনি। আমরা প্রজেকশন করি না, চূড়ান্ত করার পর ফিগারটা দেই। তারা মাসে বা বিভিন্ন সময় প্রজেকশন করে, আমরা সেটা করি না।