বাংলাদেশ চলতি বছরের ৫ থেকে ৮ এপ্রিল ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে দশম ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠান হবে। বাংলাদেশ ৮ এপ্রিল দশম ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করতে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন। বুধবার (৩১ মার্চ) পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন জানান, প্রধানমন্ত্রী দশম ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করবেন এবং বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। এছাড়াও ডি-৮ সম্মেলনে অন্যান্য দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরাও ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে বক্তব্য দেবেন। এ সম্মেলনের স্বাগতিক দেশ হিসেবে বাংলাদেশ আগামী দুই বছর ডি-৮ এর চেয়ার দায়িত্ব পালন করবে। এবারের শীর্ষ সম্মেলনে বর্তমান ডি-৮ চেয়ার তুরস্ক, বাংলাদেশকে ডি-৮ চেয়ারের দায়িত্ব হস্তান্তর করবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে এ মুহূর্তে একইসঙ্গে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং মুজিববর্ষ উদযাপিত হচ্ছে। এ ঐতিহাসিক মাহেন্দ্রক্ষণে ঢাকায় দশম ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের আগে বাংলাদেশ সংস্থাটির পরবর্তী দুই বছরের সভাপতিত্ব লাভ করলে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা তুলে ধরার নতুন দ্বার উন্মোচন এবং বহুপাক্ষিক কূটনৈতিক সহযোগিতা সম্প্রসারণের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন জানান, দশম ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনের প্রস্তুতিমূলক সভা হিসেবে আগামী ৭ এপ্রিল ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে ১৯তম ডি-৮ কাউন্সিল ফর মিনিস্টার্স, ৫-৬ এপ্রিল ৪৩তম ডি-৮ কমিশন সভা ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে। ১৯তম ডি-৮ কাউন্সিল ফর মিনিস্টার্স সভায় আমি বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবো।
তিনি জানান, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে খাপ খাইয়ে ডি-৮ অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর যুব সম্প্রদায় যাতে তাদের সুপ্ত সম্ভাবনাকে সর্বোচ্চভাবে বিকশিত করে নিজ নিজ দেশের উন্নয়নে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে পারে সে প্রত্যাশাকে সামনে রেখে সম্মেলনের আয়োজক দেশ হিসেবে বাংলাদেশ এবারের শীর্ষ সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ‘পরিবর্তন বিশ্বে অংশীদারিত্ব: যুবশক্তি ও প্রযুক্তির প্রস্তুতি’ নির্ধারণ করেছে।
ড. মোমেন জানান, আসন্ন দশম শীর্ষ সম্মেলনে বাণিজ্য, কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা, শিল্প সহযোগিতা এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, পরিবহন, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ এবং পর্যটন- এ ছয়টি ক্ষেত্রে আন্ত: ডি-৮ সহযোগিতা বাড়ানোসহ আন্তর্জাতিক, অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক বিষয়ে সম্মিলিত নীতিগত অবস্থান গ্রহণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, ডি-৮ সদস্য রাষ্ট্রগুলো হলো- বাংলাদেশ, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান ও তুরস্ক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে যোগদান করেছিলেন। বাংলাদেশ ১৯৯৯ সালে ঢাকায় দ্বিতীয় ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলন সফলভাবে আয়োজন করেছিল।