নির্যাতনের মুখে জোরপূর্বক দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রাষ্ট্র মিয়ানমার হতে বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের নিজ মাতৃভূমিতে প্রত্যাবর্তনে ভারতকে আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার (২৭ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সফররত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা হয়।
সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ আহ্বান জানান।
পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
জোরপূর্বক বিতাড়িত এক মিলিয়নের বেশি রোহিঙ্গা তাদের মাতৃভূমিতে প্রত্যাবর্তন নিশ্চিতে ভারতের আরও সক্রিয় ভূমিকা প্রত্যাশা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা যাতে মাদক ব্যবসা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে না পড়ে সেজন্য যত দ্রুত সম্ভব তাদের প্রত্যাবর্তন হওয়া উচিত।
জবাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, ভারত শরণার্থীদের টেকসই প্রত্যাবর্তন চায়।
করোনা টিকা সরবরাহের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এটা ভারতের প্রতিবেশীই প্রথম নীতির প্রতিফলন।
করোনা টিকার প্রথম বাণিজ্যিক চালান ইতোমধ্যে ব্যবহার হয়েছে। বাকি চালানগুলো শিগগিরই পাওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশকে উপহার হিসেবে এক দশমিক দুই মিলিয়ন করোনা টিকা সরবরাহ করায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও ভারত সরকারকে ধন্যবাদ দেন শেখ হাসিনা।
তিস্তাসহ অভিন্ন নদীগুলোর পানি বণ্টন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, তিস্তা পাড়ের মানুষ অনেক কষ্টে আছে। নয় বছর আগে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু এখনো বাস্তবায়ন হয়নি।
তিস্তা পানি বণ্টন নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, অভিন্ন সব নদীর পানি বণ্টন নিয়ে গ্রহণযোগ্য সমাধানে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।