প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ আহ্বান জানিয়ে বলেছেন যে, স্বাধীনতার ৫০ বছরে অর্জনগুলোর হিসেব করে কৃতজ্ঞতা ও আত্মোপলব্ধি দিয়ে নতুন করে দেশপ্রেমের শপথ নিতে হবে।
আজ শুক্রবার (২৬ মার্চ) সকালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে প্রবাসী কল্যাণ ভবনের বিজয়-৭১ হলে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীনের সভাপতিত্বে এতে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য ড. নাসরিন আহমাদ।
প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয় বাঙালি জাতির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ অর্জন। আর এ অর্জনের প্রধান নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আমাদের সবার উচিৎ তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা। দেশ ও জনগণের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করলেই তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানো হবে।
ইমরান আহমদ বলেন, নতুন প্রজন্মকে আমাদের স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস জানাতে প্রতিটি পরিবার থেকেই উদ্যোগ নিতে হবে। যে জাতি তার সঠিক ইতিহাস জানে না তারা কখনো উন্নতি করতে পারে না।
অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচক ড. নাসরীন আহমাদ বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক ও অভিন্ন। কোনো ষড়যন্ত্রই একে বিচ্ছিন্ন করতে পারবে না। বঙ্গবন্ধু আজীবন বাংলার মানুষের জন্য শুধু ত্যাগই করেছেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশের হাল ধরেছেন বলেই দেশের এত উন্নতি হয়েছে।
যে জাতি ইতিহাস জানে না তাকে কেউ মর্যাদা দেয় না উল্লেখ করে ড. নাসরীন আহমাদ বলেন, বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে প্রত্যেককে বাঙ্গবন্ধুকে জানতেই হবে।
প্রবাসী কল্যাণ সচিব বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন আমাদের অত্যন্ত সৌভাগ্যের। স্বাধীনতার সবচেয়ে উপকারভোগী হলাম আমরা। সময় এসেছে সেই কৃতজ্ঞতা জানানোর। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছেন, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমরা যদি নিজেকে নিয়োজিত করতে পারি তবেই তার প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা জানানো হবে।
আলোচনা অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. শামসুল আলম, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জাহিদুল হক প্রমুখ।