সরকার ঘোষিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রথম পর্যায়ের তালিকায় সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও খন্দকার মোশতাক আহমেদের নাম রয়েছে। সেক্টর কমান্ডার হিসেবে জিয়াউর রহমান ও মুজিবনগর সরকারের মন্ত্রী হিসেবে মোশতাকের নাম রয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) বিকেল ৪টায় মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান।
মোজাম্মেল হক বলেন, \”মুক্তিযাদ্ধা হিসেবে জিয়াউর রহমানের নাম রয়েছে তালিকায়। তিনি মুক্তিযুদ্ধ করেছেন এটা তো অস্বীকার করা যাবে না। তিনি সেক্টর কমান্ডার ছিলেন, জেড ফোর্সের প্রধান ছিলেন। পরবর্তীসময়ে তিনি আদর্শ বিচ্যুত হয়েছেন।\”
খন্দকার মোশতাকের বিষয়ে তিনি বলেন, \”তিনি মুজিবনগর সরকারের মন্ত্রী ছিলেন এটা অস্বীকার করা যাবে না। আবার তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যায় অভিযুক্ত। যেহেতু রায় প্রকাশের আগেই তিনি মারা যান তাই তার সাজা হয়নি। তবে তিনি তালিকায় থাকবেন।\”
আগের সব তালিকা বাতিল জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, \”এই তালিকা প্রকাশ হওয়ার ফলে আগের সবগুলো বাতিল হয়ে যাবে। এটিই চূড়ান্তভাবে প্রকাশিত মুক্তিযোদ্ধাদের প্রথম পর্যায়ের তালিকা।\”
আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, \”আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় সব বিভ্রান্তি দূর করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। যার জন্য এই সময় নিয়ে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। আমরা শতভাগ নির্ভুল করার জন্য এই সময় নিয়েছি।\”
মোজাম্মেল হক আরো বলেন, \”আমরা ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমে (এমআইএস) এন্ট্রি করেছি ১ লাখ ৮২ হাজার ৮৩৪ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম। তবে প্রায় ৩৫ হাজার জনের বেসামরিক গেজেট জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের অনুমোদন না থাকায় এ তালিকার বাইরে রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে এসব গেজেট নিয়মিতকরণের লক্ষ্যে আমরা ৪৩৪ উপজেলার প্রতিবেদন পেয়েছি। সেগুলো যাচাই-বাছাই এবং আপিল শুনানি শেষে ৩০ জুনের মধ্যে যাচাই-বাছাইধীন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নাম চূড়ান্ত তালিকায় প্রকাশ পাবে।\”
রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করার বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, \”রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করার জন্য কোনো কর্তৃপক্ষ ছিল না। আমরা জামুকার আইন সংশোধন করে রাজাকারের তালিকা প্রণয়নের কাজ করছি। আশা করছি, আগামী সংসদ অধিবেশনে আইনটি পাস হলে আমরা রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করতে পারবো।\”
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ তালিকা প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।