প্রথম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে বাংলাদেশের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের জেলা বাগেরহাটের ৭০টি ইউনিয়নের মধ্যে ৩৯টিতে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন।
মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে বাগেরহাট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফারাজী বেনজীর আহম্মেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জেলা নির্বাচন অফিসে গণবিজ্ঞপ্তিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত চেয়ারম্যানদের তালিকা প্রকাশ করা হবে।
বাগেরহাট জেলার নয়টি উপজেলার ৭৫টি ইউনিয়নের মধ্যে আগামী ১১ এপ্রিল ৭০টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন হবে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে একক প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের ৩৯ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন। এর মধ্যে মোল্লাহাট ও মোংলা উপজেলার সবকটি ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন। এছাড়া অন্য সাতটি উপজেলায়ও অনেক ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী রয়েছেন।
মোল্লাহাট উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের মধ্যে ছয়টিতেই চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ীরা হলেন- উদয়পুরে এস কে হায়দার মামুন, চুনখোলায় মনোরঞ্জন পাল, কুলিয়ায় মো. মিজানুর রহমান, গাওলায় শেখ রেজাউল কবীর, কোদালীয়ায় শেখ রফিকুল ইসলাম ও আটজুড়িতে মো. মনিরুজ্জামান মিয়া।
মোংলা উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নেও ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন। বিজয়ী হলেন- সোনাইলতলায় নাসরিন আক্তার নাজিনা, বুড়িরডাঙ্গায় উদয় শংকর বিশ্বাস, চিলায় গাজী আকবর হোসেন, চাঁদপাই মোল্লা মো. তরিকুল ইসলাম, সুন্দরবন ইউনিয়নে মো. একরাম ইজারাদার এবং মিঠাখালীতে উৎপল কুমার মণ্ডল।
বাগেরহাট সদরের সাতটির মধ্যে ছয়টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। নির্বাচিতরা হলেন, বেমরতায় মনোয়ার হোসেন টগর, কাড়াপাড়ায় শেখ মহিতুর রহমান পল্টন, বিষ্ণুপুরে এমডি মাসুদ রানা, বারুইপাড়ায় আলহাজ¦ হায়দার আলী মোড়ল, খানপুরে ফকির ফহম উদ্দিন, ডেমায় মো. মনি মল্লিক।
শরণখোলা উপজেলার চারটির মধ্যে তিনটি ইউনিয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। তারা হলেন- সাউথখালীতে মো. মোজাম্মেল হেসেন, রায়েন্দায় আজমল হোসেন মুক্তা ও খোন্তাকাটায় জাকির হোসেন খান মহিউদ্দিন।
রামপালেও ১০টির মধ্যে পাঁচটিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। তারা হলেন-মল্লিকেরবেড়ে মো. সাবির আহমেদ তালুকদার, হুড়কায় তপন কুমার গোলদার, ভোজপাতিয়ায় তরফদার মাহফুজুল হক টুকু, রামপাল সদরে মো. নাসির উদ্দিন হাওলাদার ও বাঁশতলীতে মো. মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল।
চিতলমারীতে সাতটির মধ্যে চারটিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। বিজয়ীরা হলেন- হিজলায় কাজী আবু শাহিন, শিবপুরে ওয়ালিউজ্জামান জুয়েল, চর বানিয়ারীতে অর্চনা রানী ঝরনা বড়াল ও সন্তোষপুরে বিউটি আক্তার।
ফকিরহাটে সাতটি ইউনিয়নের মধ্যে চারটিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। তারা হলেন-ফকিরহাট সদর শিরিনা আক্তার কিসলু, বেতাগায় ইউনুচ আলী, পিলজংয়ে মোড়ল জাহিদুল ইসলাম ও নলদা-মৌভোগে সরদার আমিনুর রশিদ।
কচুয়ার সাতটির মধ্যে চারটিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। তারা হলেন- বাধালে নকীব ফয়সাল অহিদ, গোপালপুরে এস এম আবু বক্কর সিদ্দিক, গজালিয়ায় এস এম নাসির উদ্দিন ও রাড়ীপাড়ায় নাজমা আক্তার।
মোরেলগঞ্জে ১৬টির মধ্যে একটি মাত্র ইউনিয়ন নিশানবাড়িয়ায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাইফুল ইসলাম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন।
বাগেরহাট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফারাজী বেনজীর আহম্মেদ বলেন, ১১ এপ্রিল প্রথম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বাগেরহাটে ৭০টি ইউনিয়নে নির্বাচন হবে। এর মধ্যে ৩৯টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী রয়েছেন। এছাড়া বেশ কিছু ওয়ার্ডে একক প্রার্থী রয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ীদের তালিকা দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।