এলএনজির কারণে দেশে গ্যাস সরবরাহ কমে যাওয়ায় আজ বৃহস্পতিবার (২৫ মার্চ) দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঢাকা শহরসহ সব এলাকায় গ্যাসের স্বল্প চাপ বিরাজ করবে বলে জানিয়েছে তিতাস গ্যাস কোম্পানি। এজন্য গ্রাহকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন তারা।
বৃহস্পতিবার রাতে এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে তিতাস জানায়, তিতাস অধিভুক্ত এলাকায় সামগ্রিক নেটওয়ার্কে গ্যাসের সরবরাহ কম। এজন্য ঢাকা শহরসহ সব এলাকায় প্রয়োজনীয় পরিমাণে ও চাপে গ্যাস সরবরাহ করতে পারছে না তারা। এ অবস্থায় আগামীকাল ২৫ মার্চ দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঢাকা শহরসহ সব এলাকায় গ্যাসের স্বল্প চাপ বিরাজ করবে।
হঠাৎ করেই এলএনজি সরবরাহ কমে যাওয়ায় বুধবার (২৪ মার্চ) সকাল থেকে ঢাকা মহানগরীর প্রায় সব এলাকায় কম-বেশি গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে। কোথাও কোথাও একেবারেই গ্যাস ছিলো না, আবার কোথাও চুলা জ্বললেও চাপ এত কম ছিলো যে, রান্নার উপায় ছিলো না।
এর আগে গত সোমবার (২২ মার্চ) রাতে আমিনবাজারে রাস্তা মেরামত করতে গিয়ে তিতাসের সিটি গেটে গ্যাসের পাইপলাইন ছিদ্র করে ফেলে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।
এতে ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর এবং মিরপুর এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। রাতে মেরামতের কাজ শুরু করলে মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) দিনগত রাত থেকে অল্প অল্প করে গ্যাস আসতে শুরু করে। কিন্তু মেরামতের কাজ শেষ না করা এবং একইসঙ্গে এলএনজি সরবরাহ কমে যাওয়ার কারণে বুধবার সকাল থেকে আবারও ঢাকা মহানগরীরর প্রায় সব এলাকায় আবারও গ্যাস সংকট দেখা দেয়।
এখন গ্যাসের চাহিদা গড়ে প্রায় ৩৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট। আগে থেকেই চাহিদার তুলনায় সরবরাহ হচ্ছে গড়ে ২৯০০ মিলিয়ন ঘনফুটের মতো। অর্থাৎ আগে থেকেই ঘাটতি ছিল ৬০০ মিলিয়ন ঘনফুট।
এদিকে মঙ্গলবার এলএনজির সরবরাহ ছিল ৬৪০ মিলিয়ন ঘনফুট, বুধবার তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫৭০ মিলিয়ন ঘনফুটে। ফলে ৬০০ মিলিয়ন ঘাটতির সঙ্গে আরও প্রায় ৭০ মিলিয়ন ঘনফুট যুক্ত হওয়ায় পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।
এলএনজি সরবরাহের বিষয়ে জানতে চাইলে এলএনজি সেলের এক কর্মকর্তা জানান, আমাদের সরবরাহ কিছুটা কমেছে। এখন গড়ে ৬০০ মিলিয়নের মতো আমরা সরবরাহ করতে পারছি। আগামী শুক্রবার থেকে সরবরাহ বাড়তে পারে। বেশকিছু কার্গো এসে পৌঁছাবে। ফলে ৭৫০ মিলিয়ন ঘনফুটের মতো সরবরাহ করতে পারবো বলে আশা করছি।