দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে আট হাজার ৭৩৮ জনের। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন তিন হাজার ৫৫৪ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৭৭ হাজার ২৪১ জনে। আজ মঙ্গলবার (২৩ মার্চ ) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৮৩৫ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন পাঁচ লাখ ২৫ হাজার ৯৯৪ জন।
সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ২১৯টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১১৮টি, জিন-এক্সপার্ট ২৯টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ৭২টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ২৬ হাজার ৩৫৭টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২৫ হাজার ৯৫৪টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪৪ লাখ ৬০ হাজার ১৮৪টি।
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৯৪ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯১ দশমিক ১২ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৫২ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে নাসিমা সুলতানা জানান, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১৮ জনের মধ্যে ১২ জন পুরুষ, ছয় জন নারী। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে তিন জন। এছাড়া রংপুর বিভাগে এক জন রয়েছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ১৭ জন, বাড়িতে এক জন।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরে ঊর্ধ্বে ১০ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ছয় জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে দুই জন রয়েছেন।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ১৫৮ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৪৮ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন এক লাখ দুই হাজার ৩৫১ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৯২ হাজার ৩৫১ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১০ হাজার ২২৬ জন।