বঙ্গবন্ধু মাত্র সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে দেশকে পুনর্গঠন করেছিলেন বলে জানিয়েছেন, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী দেশকে বিরানভূমিতে পরিণত করেছিল।
তিনি সেই ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবনের জয়গান গেয়েছিলেন। রোববার (২১ মার্চ) জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানমালার পঞ্চম দিনের আলোচনার স্বাগত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
‘মুজিব চিরন্তন’ প্রতিপাদ্যে ১০ দিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি।
রোববার পঞ্চম দিনের আলোচনার প্রতিপাদ্য ছিল ‘ধ্বংসস্তূপে জীবনের গান’। এ বিষয়ে আলোচনা করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং ইতিহাসবিদ অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন।
আলোচনা পর্বে জর্ডানের বাদশার পক্ষে দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভিডিও বার্তা প্রচার করা হয়।
হাছান মাহমুদ বলেন, সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে নানা সংকট থাকলেও বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শিতা ও প্রজ্ঞাময় নিদের্শনায় দেশ পুর্নগঠিত হতে থাকে। তিনি মাত্র নয় মাসে আমাদের পবিত্র সংবিধান প্রণয়ন করেন।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা ছিল বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন। তার পথ ধরে তার কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে সময়ের আগেই বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পর্বে ছিল বন্ধু রাষ্ট্র চীনের সাংস্কৃতিক আয়োজন। আরও ছিল ‘মুজিব চিরন্তন’ প্রতিপাদ্যের ওপর টাইটেল অ্যানিমেশন ভিডিও, ক্যানভাসে বঙ্গবন্ধুর সাড়ে তিন বছর: শূন্য থেকে মহাশূন্যে (কাব্য, সুর ও ছন্দে কোরিওগ্রাফি), বঙ্গবন্ধুর নবজীবনের ডাক: ধূসর বাংলা থেকে সবুজ বাংলা (পালা, জারি ও গম্ভীরা পরিবেশনা), বিশ্বনেতা ও বিশ্বনাগরিকের সঙ্গে মেলবন্ধন (মিউজিক কোরিওগ্রাফি), নারী জাগরণ ও নারীর ক্ষমতায়নে বঙ্গবন্ধু (থিয়েট্রিক্যাল কোরিওগ্রাফি), শিশু বিকাশে বঙ্গবন্ধু: আলো আমার আলো (১০০ জন শিশু শিল্পীর পরিবেশনা), শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে নবজাগরণ: শিল্পের সব বাহনের উৎকর্ষ সাধন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নাটক: ২৮৮ দিন এবং আন্তর্জাতিক সংগীত ধারার সঙ্গে সমন্বয় রেখে ব্যান্ড সংগীতের জাগরণ পরিবেশনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শেষ হবে।
আগামী সোমবার (২২ মার্চ) ষষ্ঠ দিনের আয়োজনের প্রতিপাদ্য ‘বাংলার মাটি আমার মাটি’। জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে আয়োজিত উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভান্ডারী।