স্বাধীনতা সংগ্রাম সহ সব আন্দোলন-সংগ্রামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা অগ্রগণ্য বলে জানিয়েছেন, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। জীবনের মায়া উৎসর্গ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসমাজ সর্বদা গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামে এগিয়ে এসেছে।
শনিবার (২০ মার্চ) স্পিকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত \’স্বাধিকার ও মুক্তি সংগ্রামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়\’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন।
স্পিকার বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসমাজের প্রতিবাদী সত্তার স্ফুরণ ও অগ্রগণ্য ভূমিকা অনন্য অসাধারণ অর্জন। এই অর্জনকে ধারণ করে আগামী দিনের সোনার বাংলাদেশ নির্মাণে এগিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, বাহান্নর ভাষা আন্দোলনের মিছিলে গুলিবর্ষণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসমাজ জীবনের মায়া ত্যাগ করে ভাষার জন্য জীবন দিয়েছিলো। এরই পথ ধরে এগিয়ে যায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম। ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানসহ সব আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল অগ্রগামী। ২৫ মার্চের কালো রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ব্যাপক গণহত্যা চালায়।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বৈষম্য-অনাচার-শোষণ-অর্থনৈতিক নিপীড়ন থেকে মুক্ত করার যে ডাক বঙ্গবন্ধু দিয়েছিলেন, তার সেই আদর্শকে ধারণ করে একাত্তরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকসমাজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলো।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে আজাদের সভাপতিত্বে ও অধ্যাপক ড. খোন্দকার মোকাদ্দেম হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি আনোয়ার উল আলম চৌধুরী পারভেজ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী, ড. ইমতিয়াজ আহমেদ, ড. ভীষ্মদেব চৌধুরী ও ড. সেলিম জাহান।