সুনামগঞ্জের শাল্লার ঘটনায় জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। যারা দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করছে, তাদের অতিদ্রুত আইনের আওয়তায় এনে বিচার নিশ্চিত করা হবে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) সকালে তার নিজ উপজেলা শাল্লার হবিবপুর নয়াগাঁও মধ্যহাটিতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এটি এক পক্ষ সহ্য করতে পারছে না। তাই দেশে সাম্প্রদায়িক অশান্তি সৃষ্টি করে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চাইছে। দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যেভাবে দেশ থেকে জঙ্গিবাদ দমনে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখে বিশ্ব দরবারে দেশের জন্য সুনাম বয়ে এনেছে, সেভাবে অচিরেই সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসীদের কালো হাত ভেঙে দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ। এখানে সবার সমান অধিকার রয়েছে। কেউ যদি সংখালঘ্যুদের ওপর নির্যাতন করে, তা সহ্য করা হবে না, যোগ করেন র্যাবের ডিজি।
এর আগে সকাল ১১টায় নয়াগাঁও মধ্যহাটি এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত ঘর-বাড়ি পরিদর্শন করেন তিনি।
এর আগে গত সোমবার (১৫ মার্চ) দিরাইয়ে আসেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হকসহ কেন্দ্রীয় নেতারা। এসময় তারা বিভিন্ন বিষয়ে বক্তব্য দেন। এরপর মঙ্গলবার শাল্লা উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়নের নয়াগাঁও গ্রামের ঝুমন দাস আপন নামে এক যুবক ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। সেখানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যবিরোধী কথা বলায় মামুনুল হকের সমালোচনা করেন তিনি।
এ ঘটনায় ধর্মীয় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে রাতেই আপনকে গ্রেফতারের দাবিতে ওই এলাকার হেফাজত নেতার অনুসারীরা বিক্ষোভ মিছিল করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ রাতেই ঝুমন দাস আপনকে আটক করে। পুলিশ আপনকে গ্রেফতার করলেও বুধবার সকালে আপনসহ ওই গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের বেশকিছু লোকের বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করেন মামুনুল হকের অনুসারীরা। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও আতঙ্কে গ্রাম ছেড়ে বাসিন্দারা আশ্রয় নেন হাওরে। তবে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা বা আটক হয়নি।