বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানিয়েছেন যে, উন্নয়ন ও অগ্রগতির কোনো কিছুতেই পাকিস্তান আমাদের ধারে কাছে নেই। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অক্লান্ত পরিশ্রম করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। গত ১২ বছরে দেশে অনেক উন্নয়ন হয়েছে।
সোমবার (১৫ মার্চ) বিকেলে ঢাকায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘বিশ্ব ভোক্তা-অধিকার দিবস’ উপলক্ষে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘মুজিব বর্ষে শপথ করি- প্লাস্টিক দূষণরোধ করি। ’
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ভোক্তার অধিকার বিষয়ে মানুষকে সচেতন করে তুলতে এবং সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আরো সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, যাদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত দেশ, তাদের প্রতি কাজের মাধ্যমে ঋণ শোধ করতে পারবো। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের জন্য জাতিসংঘের চূড়ান্ত স্বীকৃতি লাভ করেছে। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় এগিয়ে চলছে।
টিপু মুনশি বলেন, বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা নির্মাণ করতে চেয়েছিলেন। সোনার বাংলা মানে দেশের জনগণ ভালো থাকবে, উন্নত জীবন পাবে, শিক্ষিত হবে, বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে হত্যা করার মাধ্যমে সব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বন্ধ হয়ে যায়। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানানো। কারণ বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বাংলাদেশ পছন্দ হয়নি, তারা চেয়েছিল পাকিস্তানের ভাবধারায় ফিরে যেতে। দীর্ঘ ২১ বছর তারা চায়নি দেশের উন্নয়ন হোক।
তিনি বলেন, করোনার সময় কিছু লোক সুযোগ-ফায়দা নেওয়ার চেষ্টা করেছিলো। জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মাঠে থাকায় করোনা আক্রান্ত ভোক্তারা কম বঞ্চিত হয়েছে।
এজন্য তিনি জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ধন্যবাদ জানান।
বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শিল্প সচিব কে এম আলী আজম, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা, বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. মুন্তাকিম আশরাফ প্রমুখ।