পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন মন্তব্য করে বলেছেন যে, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে বাংলাদেশে পাঁচ দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের সফর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আস্থার প্রতিফলন।
সোমবার (১৫ মার্চ) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে পাঁচ দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানের অংশগ্রহণ নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, করোনা ভাইরাস প্রকোপের মধ্যেই পাঁচটি দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান বাংলাদেশে আসছেন। এই সফর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আস্থার প্রতিফলন। সে কারণেই তারা বাংলাদেশ সফরে আসছেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১৭-২৭ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। এতে যোগ দিতে আগামী ১৭ মার্চ আসছেন মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মোহাম্মদ সলিহ, শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী মাহেন্দ্র রাজাপাকসে আসবেন ১৯ মার্চ, নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভান্ডারী আসবেন ২২ মার্চ, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং আসবেন ২৪ মার্চ আর ২৬ মার্চ আসবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তারা প্রত্যেকেই দু’দিন করে ঢাকায় অবস্থান করবেন। বেশ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ভিডিওবার্তা পাঠাবেন। যারা ভিডিওবার্তা পাঠাবেন তাদের মধ্যে রয়েছেন কানাডা, ফ্রান্স, জাপান, চীনের সরকারপ্রধান। আরো বিভিন্ন দেশ থেকে ভিডিওবার্তা আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ড. মোমেন জানান, যেসব দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরা আসছেন, তাদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে বিভিন্ন চুক্তি সই হবে। তবে কোন কোন দেশের সঙ্গে কী কী চুক্তি সই হবে, সেটা এখনই বলা সম্ভব নয়। এ নিয়ে কাজ চলছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ১৭-২৭ মার্চ ঢাকায় চলাফেরার জন্য সাময়িক অসুবিধা হতে পারে। তবে বেশি অসুবিধা যেন না হয়, সে জন্য সরকারি ছুটির মধ্যেই আমরা বেশি ইভেন্ট রেখেছি।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, পররাষ্ট্র সচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে শামস, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চিফ অব প্রটোকল আমানুল হক।