খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ ৬ মাস বাড়ানোর সুপারিশ

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজার স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ আগের শর্তে আরও ৬ মাস বাড়ানোর সুপারিশ করে মতামত দিয়েছে আইন , বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। দুর্নীতির দায়ে ১৭ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছিলেন তিনি।

আজ সোমবার (৮ মার্চ) আইন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ড. মো. রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞিপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে জানানো হয়, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ আগের শর্তে আরও ৬ মাস বাড়ানোর সুপারিশ করে মতামত দিয়েছে আইন , বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। সোমবার আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এ সম্পর্কিত নথিতে অনুমোদন দিয়েছেন এবং ওই নথি কিছুক্ষণ আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

এবিষয়ে সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, \’তারা আবার সময়টা (সাজা স্থগিত) এক্সটেনশন (বাড়ানো) করার জন্য, আরো কিছু শর্ত শিথিল করে তারা এক্সটেনশন চেয়েছে। আমরা এখন সেটা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখবো। এখন পরবর্তী সিদ্ধান্ত দেওয়ার জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে।

আবেদনে তারা কি চেয়েছেন-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারা তাদের পত্রে শর্ত শিথিল করে করোনাকালীন তারা চিকিৎসা নিতে পারেনি, সেটা জানিয়েছেন এবং তার দণ্ডাদেশ মওকুফ করা যায় কিনা, সেটা সম্বন্ধেও তারা বলেছেন। আমরা তো বলছি এটা আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠাবো, আইন মন্ত্রণালয় থেকে মতামত আসলে আমাদের যথাযোগ্যদের সঙ্গে আলাপ করে করে তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়ে খালেদা জিয়া কারাগারে ছিলেন। কিন্তু খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দার এ সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদনের প্রেক্ষিতে ২৫ মাস কারাভোগের পর খালেদা জিয়াকে শর্ত সাপেক্ষে গত বছর ২৫ মার্চ ছয় মাসের জন্য দণ্ড স্থগিত করে সরকার। এরপর দ্বিতীয় দফায় ফের ছয় মাস সাজা স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হয়। সে মেয়াদ আগামী ২৫ মার্চ শেষ হচ্ছে। একইসঙ্গে দণ্ডাদেশ মওকুফ করা যায় কিনা সে প্রসঙ্গেও তারা আর্জি জানিয়েছেন।

Scroll to Top