দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে আট হাজার ৪৫১ জনের। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৫৪০ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৪৯ হাজার ৭২৪ জনে।
আজ শনিবার (৬ মার্চ ) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৮২২ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন পাঁচ লাখ এক হাজার ৯৬৬ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ২১৯টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১১৮টি, জিন-এক্সপার্ট ২৯টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ৭২টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১২ হাজার ৮৩৪টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৩ হাজার ৮২টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৪১ লাখ ৩২ হাজার ২১৩টি।
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার হার চার দশমিক ১৩ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৩০ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯১ দশমিক ৩১ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৫৪ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে নাসিমা সুলতানা জানান, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ছয় জনের মধ্যে সাত জন পুরুষ, তিন জন নারী। এদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে চার জন, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিভাগে দুই জন চার জন। এছাড়া খুলনা ও বরিশাল বিভাগে এক জন দুই জন রয়েছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ১০ জন।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরে ঊর্ধ্বে চার জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে তিন জন, ৪১ থেকে ৫০ বছররের মধ্যে দুই জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যরে এক জন রয়েছেন।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৫৫ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ২৩ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন এক লাখ ৮৬০ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ৯১ হাজার ১৫৫ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন নয় হাজার ৭০৫ জন।