কাশিমপুর কারাগারেই আছেন হল-মার্কের মহাব্যবস্থাপক তুষার

বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলের ঢাকা বিভাগের প্রশাসনিক অঞ্চল গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১-এ বন্দি হল-মার্কের মহাব্যবস্থাপক তুষার আহমদ বিধি লঙ্ঘন করে নারীর সঙ্গে সময় কাটানোর ঘটনায় দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি হয়। দেশের সব জাতীয় গণমাধ্যমে নিউজের পরিপ্রেক্ষিতে কারা অধিদপ্তর তদন্ত কমিটি গঠন করে।

তদন্ত কমিটির রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে কাশিমপুর-১ কারাগারে তখনকার সিনিয়র জেল সুপার রত্না রায়, জেলার নূর মোহাম্মদ মৃধা ও ডেপুটি জেলার গোলাম সাকলায়েনসহ ১১ জনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া আরও সাত জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

টাকার বিনিময় বন্দির সঙ্গে কারাগারের ভেতরে নারীর সঙ্গে সময় কাটানো সেই মূল হোতা হল-মার্কের মহাব্যবস্থাপক তুষার আহমদ এখনো কাশিমপুর-১ কারাগারেই আছেন।

আজ শনিবার (৬ মার্চ) দুপুরে এ ব্যাপারে কথা হয় কাশিমপুর-১ এর সিনিয়র জেল সুপার গিয়াস উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি জানান, হল-মার্কের মহাব্যবস্থাপক তুষার আহমেদ এখনো সেই কারাগারেই আছেন।

এদিকে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের সভাপতি আইনজীবী মনজিল মোরশেদ জানান, ফৌজদারি অপরাধ সে যেখানে বসেই করুক, সেটা প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। যেহেতু আসামি কারাগারের মাধ্যমে সুবিধা নিয়েছেন। কারাবিধি অনুযায়ী কারা কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।

এ ব্যাপারে কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন বলেন, তুষারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তাকে অন্য কারাগারে নেওয়া হতে পারে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো জানান, ঘটনার তদন্ত রিপোর্টে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। সে অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

গত ৬ জানুয়ারি তুষার আহমদকে বিধি লঙ্ঘন করে এক নারীর সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ দেওয়ায় কাশিমপুর-১ কারাগারের তখনকার সিনিয়র জেল সুপার রত্না রায়, জেলার নূর মোহাম্মদ মৃধা ও ডেপুটি জেলার গোলাম সাকলায়েনসহ ১১ জনকে বরখাস্ত করা হয়। এছাড়া আরও সাত জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

Scroll to Top